রাবি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশ অমান্যের অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২২ ০৯:০৬; আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ০০:৩৭

উচ্চ আদালতের আদেশ।

হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারিকে কর্তৃপক্ষ কাজে যোগ দিতে দিচ্ছে না। বেতন-ভাতা প্রদান না করে তাকে নানাভাবে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে নিম্নমান সহকারি পদে কর্মরত মো. মাসুদুর রহমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।

মাসুদুর রহমান উপরিউক্ত অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ২৭ মার্চ উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার স্যার কোনো কারণ দর্শানো ও তদন্ত ছাড়াই এক নির্বাহী আদেশে আমাকে চাকরিচ্যুত করে। পূর্বের দায়ের করা এক রিটে সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈতবেঞ্চ চাকরিচ্যুতির দিন থেকে তিন মাসের জন্য উপাচার্যের আদেশ, গত ৩০ মে স্থগিত করে। হাইকোর্টের আদেশের সার্টিফাইড কপি ৩১ মে প্রাধ্যক্ষ'র মাধ্যমে রেজিস্ট্রারকে দিতে গেলে প্রাধ্যক্ষ আবেদন সুপারিশ না করে দিনভর আমাকে বসিয়ে রাখেন। পরে, সহকারি রেজিস্ট্রারকে আদেশের কপি প্রদান করি, তিনিও গ্রহণ করতে নানা গড়িমসি করেন। বর্তমানে সারাদিন অফিসে গিয়ে বসে থাকি, আমাকে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বেতন-ভাতাদির বিল ও গত ঈদ ফিতরের বোনাস প্রদানের জন্য আবেদন করি, কিন্তু প্রাধ্যক্ষ মহোদয় আমার আবেদন গ্রহণ করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।'

জানা যায়, শহীদমিনার ও জাতীয় দিবসের মর্যাদা ক্ষুন্ন করা এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগে কোনো কারণ দর্শানো ও তদন্ত ছাড়াই উপাচার্যের নির্বাহী আদেশে মাসুদুর রহমানকে গত ২৭ মার্চ চাকরিচ্যুতি করা হয়। উপাচার্যের আদেশটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ জন্য রুলনিশিও জারি করে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ছাড়াও মামলার আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে। মাসুদুর রহমানের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত তিনদশক ধরে বিভিন্ন সরকার ও উপাচার্যের মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন শতাধিক দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কর্মচারি বর্তমানে কর্মরত রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন তাঁদের স্থায়ীকরণের জন্য ২০০৮ সালে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুরি প্রদান করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অর্থ পেয়েও চাকরি স্থায়ীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন সংশ্লিস্ট কর্মচারিরা। এরই জেরে, দৈনিক মঞ্জুরিভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারিদের পক্ষে মাসুদুর রহমানসহ অপর একজন হাইকোর্টে গত বছর রিট দায়ের করে (নং-২৯৩৪/২০২১) এবং তা বর্তমানে শুনানির জন্য চূড়ান্ত তালিকায় রয়েছে।

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top