শিঙাড়া আর চপ বিক্রি করেই রাবি শিক্ষার্থীদের আয় ২ লাখ

রাজ টাইমস | প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৩৫; আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০১:৪৫

ছবি: সংগৃহীত

ক্যাম্পাসে শিঙাড়া আর চপ বিক্রি করে মাসে ২ লাখ টাকা আয় করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটটের একদল শিক্ষার্থী। বেঁতের থালায় পরিবেশন করা ছোট ছোট এসব খাবার পরিচিত হয়ে উঠেছে নাগা মরিচের শিঙাড়া আর চপ হিসেবে। এর সুনাম এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়েছে। একটু কম দামে সুস্বাদু খাবার খেতে ভিড় জমাচ্ছেন ভোজন রসিকরা।

শিঙাড়ার সঙ্গে ছোট ছোট বাটিতে সরিষা, টমেটো ও তেঁতুলের তিন পদের টক আর কাঁচা নাগা মরিচের স্বাদ নিতে আগে থেকেই টোকেন কেটে অপেক্ষা করতে হয় এ খাবারের জন্য। প্রতি পিস শিঙাড়ার দাম ৩ টাকা, আর নাগা মরিচের চপ ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাত্র এক মাসেই বেচা বিক্রি জমে উঠেছে। সকাল থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই বেচাকেনা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের একদল শিক্ষার্থী এই ব্যবসার উদ্যোক্তা। পড়াশোনার পাশাপাশি পালা করে এ কাজ করছেন তারা। প্রায় ৮ হাজার টাকার মতো প্রতিদিন বিক্রি হয় বলে জানান তারা।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তারিফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে তিন টাকা পিস শিঙাড়া পাওয়া যায় না বললেই চলে। তবে এ শিঙাড়া সাইজে ছোট হলেও স্বাদ কিন্তু দারুণ। কম দাম হওয়ায় প্রায় এখানে খেতে আসি।

তিন পিস শিঙাড়া খেয়ে প্রশংসা করতে ভুল করেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পলি আক্তার। তিনি বলেন, এই দামে সাধারণত এখন শিঙাড়া তেমন পাওয়া যায় না। সব থেকে ভালো লেগেছে তারা শিঙাড়ার সঙ্গে তিন পদের চাটনি দিয়েছে। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে নিয়মিত খেতে আসার কথাও জানান তিনি।

উদ্যোক্তারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বরিশাল জেলা থেকে নাগা মরিচ এনে প্রস্তুত করা হয় এই ভিন্ন রকম এই সিঙ্গাড়া। ভালো সাড়া পেলে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় শহরের বিভিন্ন জায়গায়ও এমন উদ্যোগ নিতে চান তারা।

উদ্যোক্তা শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থী মাইশা বলেন, প্রথমে ছোট ব্যবসা না করে কখনো বড় ব্যবসার দিকে মনোনিবেশ করা যায় না। কীভাবে ক্রেতাদেরকে আকর্ষিত করা যায়, খাবারের মান ভালো করা যায় তা ছোট ব্যবসা মাধ্যমেই শিখতে হয়।

দোকানের উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী আল-ইমরান বলেন, এখানে প্রধান উপকরণ হচ্ছে নাগা মরিচ (বোম্বাই মরিচ) ও বিভিন্ন রকমের মসলা। বেশি বিক্রির চেয়ে মান যাচাই করে কম বিক্রি করাই আমাদের উদ্দেশ্য। তাহলে আমাদের ব্যবসা দীর্ঘমেয়াদি হবে। আমি জানি না ব্যবসা কতদিন পর্যন্ত চলবে। এখনো পর্যন্ত খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি তবে চিন্তা থাকবে কম মূল্যেই তা বিক্রি করা। যদি সাড়া পান তাহলে ক্যাম্পাসের গণ্ডি ছাড়িয়ে রাজশাহী শহরেও এ ব্যবসা চালু করতে চান এ উদ্যোক্তা।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top