মধ্যরাতে উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
রাবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২৪ ০১:৫৪; আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ২০:৪৫

"সরকারি চাকরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে" প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে মধ্যরাতে হল থেকে বেরিয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় 'আমি কে তুমি কে, রাজাকার রাজাকার' এমন স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় ছাত্রীদের হলে তালা মারা থাকলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একদল সেখানে গেলে হলের তালা খুলে দেন প্রহরীরা।
'তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার', 'চেয়েছিলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে সরকার সরকার' এমনসব স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল করে তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাহ পরান বলেন, কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন করছিলাম। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যৌক্তিক দাবি জানিয়ে ছিলাম কিন্তু উনি আমাদের কথা তো শুনলেন না বরং আমাদেরকে রাজাকার ট্যাগ দিয়ে দিলেন।
যৌক্তিক দাবি আদায় করতে গিয়ে যদি আমাদের রাজাকার হতে হয় তাহলে রাজাকার হয়েই আমরা আমাদের দাবি আদায় করবো। যৌক্তিক দাবি আদায়ে যেকোনো বাঁধা মোকাবিলা করতে আমরা শিক্ষার্থী সমাজ প্রস্তুত রয়েছি। যে রাজাকাররা বৈষম্য বিরুদ্ধে গিয়ে কথা বলে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ সেই রাজাকার হতে পেরে গর্বিত।
ফাহিম রেজা বলেন, এতোদিন কোটা সংস্কারের জন্য আমরা শান্তশিষ্টভাবে আন্দোলন করছিলাম কিন্তু সরকার আমাদেরকে শান্ত থাকতে দেয়নি। আমরা আজকেও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শান্তশিষ্ট হয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে অধিকার আদায়ের কথা বল্লে রাজকার হতে হয় সেটার প্রমাণ বাংলাদেশ। রাজাকার হলেও কোনো সমস্যা নেই তবুও আন্দোলনে বাস্তবায়ন করবো।
এসময় প্রায় বিভিন্ন হলের এক হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: