সেই ড্রামের লাশের পরিচয় মিলেছে, পুলিশসহ আটক ৪
পবা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২১ ০৪:০৮; আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৩৬

রাজশাহী নগরীর অদূরে বাইপাস সড়কের সিটি হাটের কাছে খিরশিন টিকোর এলাকায় ডোবায় ড্রামের মধ্যে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত সেই লাশের পরিচয় মিলেছে।
নিহত ওই তরুণীর নাম ননিকা রাণী রায় (২৪)। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁ সদরের মিলনপুর গ্রামে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং ইন্সটিটিউট থেকে সদ্য অধ্যয়ন সমাপ্ত করে একটি ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নগরীর পাঠানপাড়া এলাকার একটি মেসে থাকতেন ননিকা। রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে তার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর খুনি নিজে লাশের পরিচয় জানায়। রোববার ভোরে পিবিআই সদস্যরা ওই তরুণীর খুনি পুলিশ কনস্টেবল নিমাই চন্দ্র সরকারকে (৪৩) গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেয়া তথ্যে দিনভর অভিযান চালিয়ে মাইক্রোবাস চালকসহ তার তিন সহযোগিকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। উদ্ধার করা হয় লাশ বহনকারী মাইক্রোবাসটিও।
গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ কনস্টেবল নিমাই চন্দ্র সরকারের বাড়ি পাবনার আতইকুলা উপজেলার চরাডাঙ্গা গ্রামে। তিনি রেল পুলিশের (জিআরপি) রাজশাহী থানায় কর্মরত। রাজশাহী পিবিআই'র একটি টিম রোববার ভোর রাতে নাটোরের লালপুরে বোনের বাড়ি থেকে নিমাইকে গ্রেপ্তার করে। নিমাইয়ের সহযোগিরা হলেন, নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার আদারীয়া পাড়ার কবির আহম্মেদ (৩০), রাজপাড়া থানার শ্রীরামপুর এলাকার সুমন আলী (৩৪) এবং মাইক্রোবাস চালক নগরীর বিলশিমলা এলাকার আব্দুর রহমান (২৫)।
পিবিআই জানায়, নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার একটি বাড়িতে ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়। ওই বাড়িটি জিআরপির কনস্টেবল নিমাই চন্দ্র গত ৬ এপ্রিল ভাড়া নেয়। তার স্ত্রীও পুলিশ কনস্টেবল। তিনি বগুড়ায় কর্মরত। নিমাই জানিয়েছে, ৬-৭ বছর ধরে ননিকা রাণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। সম্প্রতি সে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ কারণে তাকে হত্যার পর ড্রামে লাশ ভরে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয়।
এসকে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: