ব্যবসায়ীদের দাবী হুজুগে বাঙ্গালী

রাজশাহীতে কাঁচা আমের স্বাদের নতুন জিলাপি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২২ ০৫:০২; আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৩৬

রাজশাহীতে কাঁচা আমের তৈরি বলা হলেও মূলত সবুজ রং মিশ্রিন করেই জিলাপি তৈরি করা হচ্ছে হচ্ছে

রাজশাহীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত পাওয়া মিষ্টির দোকান রসোগোল্লা। জনমনে আবারো সাড়া ফেলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালায় ‘দোকানে পাওয়া যাবে কাঁচা আমের জিলাপি। কী হবে আপনার প্রতিক্রিয়া? নিশ্চই ভিন্ন এ জিলাপির স্বাদ চেখে দেখতে চান আপনিও? জিলাপির এমন বিজ্ঞাপন দেখে রাজশাহী নগরীর ভদ্রা এলাকার ‘রসগোল্লা’ নামক মিষ্টির দোকানে অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন। তবে মিষ্টি এবং আম ব্যবসায়ীদের দাবী সাধারণ মানুষ হুজুগে এধরণের খাবারের পিছনে ছুটছে। যার কোন ভিত্তি নেই। তবে রং মিশ্রিত এসব জিলাপী পেটের জন্য ক্ষতিকর হতেও পারে বলে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ মনে করছেন।

দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘প্রতি কেজি কাঁচা আমের স্বাদের জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা করে। এই জিলাপিটা মিষ্টি করার জন্য চিনির রসে আর মাসকলাইয়ের জিলাপিটা খেজুর গুড়ের রসে ডোবানোর কারণে স্বাদে ভিন্নতা আসে। আর মাষকলাইয়ের জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। জিলাপির কারিগর মাসুম আলী বলেন, ‘আগে কখনও আমের স্বাদের জিলাপি বানাইনি। এই আইডিয়াটা রসগোল্লার দুই স্বত্বাধিকারীর একজন আরাফাত রুবেলের। সাধারণ জিলাপি বানাতে যেসব উপকরণ লাগে তার সঙ্গে বাড়তি যোগ করা হচ্ছে ব্লেন্ড করা কাঁচা আম আর আমের ফ্লেভার। এক ক্রেতা জানান, ‘কাঁচা আমের জিলাপি’ শুনেই ভালো লেগেছে। স্বাদটা কেমন হবে জানিনা। এখানে আমার মতো অনেকেই এসেছেন। যারা শুনে শুনে এসেছেন।’

মিষ্টি এবং আম ব্যবসায়ীদের বক্তব্য
মিষ্টি এবং আম ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তারা বলছেন, ‘এ মিষ্টির দোকানটি বিভিন্ন ফ্লেভারে মিষ্টান্ন বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে নগরীতে কিছুটা পরিচিত লাভ করে। কিন্তু সে পরিচিতিটা ব্যবহার করে ক্রেতাদের বোকা বানানোর কোন মানে হয়না। আম ব্যবসায়ীরা বলছেন রাজশাহীতে এখনও আম বড় হয়নি। গুটি পর্যায়ে আছে। আবার পূর্ণাঙ্গ আমের স্বাদের ভিন্নতা রয়েছে। কিন্তু গুটি আমের কোন স্বাদ নেই। যতই ভালো জাতের আম হোকনা কেন তা সাধারণত ‘কসলা বা তেঁতো টাইপের বিস্বাদ যুক্ত। এই গুটি আমের প্রকৃত কোনই স্বাদ নেই। কিন্তু দোকানটি আমের স্বাদের অযৌতিক কথা বলে জিলাপী বিক্রী করছেন। আবার এই গুটি আম ব্লেড করলে তার রং কালচে টাইপের হবে। কিন্তু তারা জিলাপীতে কৃত্রিম রং ব্যবহার করে আমের মতো সবুজ করছে। যা ক্রেতাদের সাথে এক ধরণের প্রতারণাও বলা যেতে পারে।

তবে তারা হয়তো গুটি আম ব্লেড করে আটার সাথে মিশ্রিত করতে পারে। কিন্তু এতে করে আমের স্বাদ পাওয়া অসম্ভব। এই স্বাদ আনতে হলে কৃত্রিম ম্যাংগো ফ্লেভার এবং রং অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। আর ক্রেতারা তাদের বিবেক কে যথাযথ কাজে না লাগানোর জন্য হুজুগে এই ধরণের খাবারের পেছনে ছুটছেন। প্রবাদ আছে ‘হুজুগে বাঙ্গালী’। এখানে এমনটাই ঘটছে। এছাড়া মাষকলাইয়ের জিলাপী রাজশাহী এবং উপজেলা পর্যায়েও তৈরি হয়। তবে প্রতিষ্ঠান বা দোকান ক্রেতাদের আকর্ষন করতে ভালো-মন্দ বিভিন্ন পদ্ধত্তির আশ্রয় গ্রহণ করে। এই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটিও তাদের মতো করে ক্রেতাদের আকর্ষন করছে।’ এদিকে স্বাস্থ্য বিশষজ্ঞগণ মনে করছেন, অতিরিক্ত খাবার রং ব্যবহার অনেক সময় পেটের জন্য মারাত্ব ক্ষতিকর পর্যােেযতে পারে।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top