ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের আগমন

জমে উঠছে গরম কাপড়ের বাজার

রাজটাইমস ডেস্ক:  | প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২২ ০৪:১৭; আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ২১:১৭

ছবি: সংগৃহিত

হিমালয়ের কোলঘেঁষা জেলা ঠাকুরগাঁও। এ অঞ্চলে কয়েক দিন থেকে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু হওয়ায় শীতের আগমন ঘটেছে। বিকাল থেকেই হালকা কুয়াশা পড়া শুরু হয়েছে এবং সন্ধ্যার পর কিছুটা বাড়ছে। রাত ৭টা-৮টার দিকে মোটামুটি ভালোই কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পরে বিভিন্ন এলাকা।

একদিকে শীতের আগমন, অন্যদিকে কৃষকের নবান্ন, উভয়ে মিলে বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক উন্নত সময় এখন। শীতের আগমনে ঠাকুরগাঁও শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে রাস্তার পাশের ফুটপাতে বসেছে গরম কাপড়ের দোকানপাট।

এসব দোকানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় করছে পছন্দমতো গরম কাপড় কেনার জন্য। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভিড় লক্ষণীয়। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন স্থানেও গরম কাপড়ের দোকান বসছে। তবে পুনাক শিল্প ও পণ্যমেলা বসায় ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে এখনও সেই রকমভাবে গরম কাপড়ের মার্কেট বসতে দেখা যায়নি।

ঠাকুরগাঁও শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক (আশ্রমপাড়ায়) হর্কাস মার্কেট থাকলেও তা এখনও জমে ওঠেনি। শহরের ব্যস্ততম রাস্তা ওই স্থানে হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ীরা মার্কেট জমিয়ে তুলতে পারছেন না। তাই লোকসমাগম বেশি থাকায় সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের (বড় মাঠ) উত্তর পাশে রাস্তার পাশের ফুটপাতে অস্থায়ী ভিত্তিতে মৌসুমি গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান নিয়ে বসেছেন। প্রতিদিন গড়ে বেচা-কেনাও হয় প্রচুর। তবে তাদের মতে, এখন কেবল শীত পড়া শুরু হয়েছে; শীত যতই বাড়বে ততই তাদের দোকানের বেচা-কেনা বাড়বে। এখানে বিভিন্ন বয়সী মানুষের চাহিদা অনুযায়ী নানা ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যাবে।

এর মধ্যে রয়েছেÑবিভিন্ন বয়সীদের সোয়েটার, টুপি, মাফলার, প্যান্ট, শার্ট, গেঞ্জি, কোট, উলের তৈরি কাপড়, জ্যাকেট ইত্যাদি। তবে বিশেষ করে এ বছর বাচ্চাদের বিভিন্ন রকমের শীতের কাপড়-চোপড় বের হয়েছে বেশি। বাচ্চাদের কাপড়ের অনেক বেশি চাহিদাও রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

এছাড়া শহরের বাসস্ট্যান্ড, সত্যপীর ব্রিজ, ঠাকুরগাঁও রোড, সালন্দর হাট, পাশাপাশি জেলার শিবগঞ্জ, খোচাবাড়ী, রুহিয়া, রামনাথ, গড়েয়া, কালমেঘ, যাদুরানী, ফাড়াবাড়ী, বেগুনবাড়ী, লাহিড়ীসহ বিভিন্ন হাটবাজারেও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা গরম কাপড় বিক্রি করতে শুরু করছেন। এখানে হাটের নির্ধারিত দিন তারা গরম কাপড় বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন ছোট-খাটো বাজারেও শীতের গরম কাপড় বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। এখানে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৌসুমি শীতের গরম কাপড় ব্যবসায়ীদের বেচাকেনাও বাড়বে বলে প্রত্যাশা তাদের।

সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠের উত্তর পাশের অস্থায়ী মৌসুমি গরম কাপড়ের মার্কেটে আসা ক্রেতা পৌর শহরের হাজীপাড়া মহল্লার গৃহিণী রুমি আক্তার জানান, প্রতি বছর তিনি এই অস্থায়ী মার্কেটে আসেন গরম কাপড় কেনার জন্য। তিনি তার পাঁচ বছরের ছেলেসন্তানের জন্য কাপড় কিনতে এসেছেন। তিনি জানান, এখানে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় স্বল্প মূল্যে কিনতে পারেন বলে জানান তিনি।

বালিয়াডাঙ্গী থেকে আসা রমজান আলী জানান, তিনি এখানে জ্যাকেট কিনতে এসেছেন। গত বছর ভালো মানের জ্যাকেট কম দামেই তিনি এই মার্কেট থেকে কিনেছিলেন। এ বছরও ভালো জ্যাকেটের সন্ধানে তিনি এসেছেন। তবে মার্কেট এখনও তেমনভাবে লাগেনি বলে পরে আবার আসবেন বলে জানান তিনি।

গরম কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন বলেন, প্রতি বছর তারা মৌসুমি এ শীতের গরম কাপড়ের দোকান দিয়ে থাকেন। এখানে ৩০-৪০টি দোকান বসেছে। এখানে ১০ টাকা থেকে শুরু করে তিন-চার হাজার টাকারও কাপড়-চোপড় পাওয়া যায়। এখানে শীতের প্রকোপ শুরু হওয়ায় বেচাকেনাও হচ্ছে ভালো। তবে তিনি জানান, শীত যত বাড়বে, বেচাকেনাও তত বাড়বে।

এনএ/ সূত্র:শেয়ার বিজ



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top