মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

রাজশাহীতে তৃতীয়বারের মতো শৈত্যপ্রবাহ শুরু

বিশেষ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারী ২০২৩ ০৫:২৪; আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫ ০০:২০

ফাইল ছবি

রাজশাহী অঞ্চলে তৃতীয়বারের মতো শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার মৌসুমের সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

গত কয়েকদিন তাপমাত্রা ওঠানামার পর শনিবার থেকে আবারও এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। অপর দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের শীতজনিত রোগীর সংখ্যা এখন ক্রমাগত বাড়ছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা কেটে যাওয়ার করণেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। যদিও তাপমাত্রা ওঠানামা করছে, তারপরও শৈত্যপ্রবাহ কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, সূর্যের দেখা মিললেও প্রখরতা থাকছে খুবই কম। এ কারণে দিনভরই শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, রাজশাহীর ওপর দিয়ে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তিনটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। চলতি মৌসুমের ১৬ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে দুই অঙ্কের ঘরে যায়। প্রথম দফার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটেছে যাওয়ার পর ৩০ ডিসেম্বর রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৩১ ডিসেম্বর রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ দিকে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন কমে ২ জানুয়ারি ১১ দশমিক ডিগ্রি , ৩ জানুয়ারি ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ৪ জানুয়ারি ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ৫ জানুয়ারি ১০ ডিগ্রি, ৬ জানুয়ারি ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও শনিবার ৭ জানুয়ারি ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসের দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দুপুরের পর কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও তার নিরুত্তাপ আলো শীতার্ত মানুষের শরীরে উষ্ণতা ছড়াতে পারেনি। এমন বৈরি আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ। রাজশাহীর ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় মানুষের পাশাপাশি এখন পশু-পাখিরাও শীতে কষ্ট পাচ্ছে।

অপর দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের শীতজনিত রোগীর সংখ্যা এখন ক্রমাগত বাড়ছে। কোল্ড ডায়রিয়া, জ্বর-সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ নিয়ে মানুষ হাসপাতালে আসছেন বেশি। এজন্য ইনডোর ও আউটডোরে শীতজনিত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
.



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top