দাম নিয়ে কৃষকদের মাঝে হতাশা
বরেন্দ্র অঞ্চলে বোরো ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন
মহিব্বুল আরেফিন | প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:২৬; আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৪৯

বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীতে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকা ও ভালো ফলনের কারণে উৎপাদনের নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে এবার ঝড়ঝাপটা তেমন না থাকায় আগাম জাতের ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান ও খড় ভালো ভাবে শুকিয়ে বাড়িতে তুলতে পারছেন বোরো চাষিরা। আশা করা যাচ্ছে সপ্তাহ দু-এক দিনের মধ্যে সব বোরো ধান কাটা ও মাড়াই করে সুষ্ঠু ভাবে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা। বিভিন্ন উপজেলায় বোরো ধানের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় বোরো জমির ধান পেকে সোনালী রঙে শোভা ছড়িয়ে দুলছে জমিতে। অন্যদিকে আলু চাষকৃত জমিতে লাগানো বোরো ধান সুবজ হয়ে বেড়ে উঠছে। বেশকিছু কৃষক জানান, এখনো বহিরাগত শ্রমিকরা না আসায় এলাকার শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে কৃষকদের।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ সূত্র জানায়, রাজশাহী জেলায় এবার বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৬৫ হাজার ৩০০ হেক্টর তবে তা ছাড়িয়ে গিয়ে আবাদ হয়েছে ৬৮ হাজার ৬০০ হেক্টর। যা লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৩০০ হেক্টর বেশী জমিতে আবাদ হয়েছে। রাজশাহী জেলার মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলায় এবার বোরো ধান আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছিলো ১৬ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে। এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪০ হেক্টর জমিতে বেশী আবাদ হয়েছে। গোদাগাড়ী উপজেলার কৃষকরা জানান, এই বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের ফলন বেশ ভালই হয়েছে। তবে ঈদের আগের তাপদাহের কারণে জমিতে বেশী পরিমাণ সেচ দিতে হয়েছে। এতে খরচ কিছুটা বেশী হয়েছে। অপর দিকে সকল প্রকার সারের দাম বস্তাপ্রতি ২৫০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় ধানের আবাদের খরচ বেড়ে যাতে এতে করে ধান চাষে কৃষকরা আশানুুরুপ লাভবান হবেন না বলে আশংকা করেন। এদিকে রাজশাহী কয়েকটি উপজেলায় শিলাবৃষ্টি হবার কারণে ধানের কিছুটা ক্ষতি হবার শঙ্কা রয়েছে।
অপর দিকে ধানের দাম নিয়ে কৃষকদের মাঝে অসন্তুটি প্রকাশ পেয়েছে। কৃষকরা জানান, ব্রি-৮৮ জাতের ধান বিঘাপ্রতি খরচ ৯ থেকে সাড়ে ১০ হাজার টাকা। প্রতিবিঘায় ধানের ফলন হচ্ছে ২০ থেকে ২২ মনের মধ্যে। তবে ধানের যে বর্তমান বাজার মূল্য মন প্রতি ১২শত টাকা।
কিন্তুআমন ধানের দাম ১৩’শ টাকা মন দওে বিক্রী করেছি। বোরো ধানের আবাদে খরচ বেশী এর দাম ১২’শ টাকা মন যদি হয় তাহলে আমাদের চলবে না। এছাড়াও সারের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়াতে আগামী আবাদে খরচ বেড়ে যাবে এবং দাম কম পেলে কৃষক ধান চাষে আগ্রহ হারাবে বলে কৃষকরা মনে করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: