রাজশাহীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আমাদের চিহ্নিত কোন শত্রু নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২০ ০২:২৭; আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২০ ০৩:৩৬

এনজিও ও বিদেশি শক্তিদের চাপে রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের দুটি বিষয় উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। এর একটি হলো মানবসম্পদ, অন্যটি নদী-নালা। বাংলাদেশের মানবসম্পদকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে প্রবাসিরা বছরে ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। এটি আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব। তাছাড়া দেশে প্রায় এক হাজার ৩০০ নদী-নালা রয়েছে। সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।

রোববার বেলা ১১টায় রাজশাহী কলেজে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস বিফ্রিং এর সময় তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতে প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই যেতে ইচ্ছুক। দিন ক্ষন এখনো ঠিক না হলেও শুধুমাত্র এনজিও ও ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সির চাপে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। তিনি আরোও বলেন, জিএসপি নিয়ে তারা ভাবছেন না। তবে আমেরিকা আমাদের কাছ থেকে যে জিনিসগুলো নেয় তাতে ১৫.৬ শতাংশ ট্যারিফ দিতে হয়। আর আমেরিকা ফ্রান্স থেকে যে জিনিস কিনে তার ট্যারিফ মাত্র ০.৫ শতাংশ। অর্থাৎ আমাদের ফ্রান্সের চেয়ে ৩৩ গুণ বেশি শুল্ক দিতে হয়। আমেরিকার নতুন সরকারের কাছে পণ্য রপ্তানিতে ট্যারিফ কমানোর দাবি থাকবে বলে তিনি জানান ।

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন রাজশাহী কলেজ মিলনায়তনে শিক্ষক-কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন, জ্ঞানকে সম্মান করতে হবে। শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদেরকে অনুসন্ধিৎসু করা। যাতে তারা জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী হয়। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা হলো সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের প্রতিবেশীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। কিন্তু আমাদের চিহ্নিত কোন শত্রু নেই। বর্তমান সরকার আলোচনার মাধ্যমে সকল দ্বি-পাক্ষিক বিষয় সমাধানে বিশ্বাসী। প্রতিবেশী দেশের সাথে স্থল, সমুদ্রসীমা ও গঙ্গার পানি বণ্টন বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান। সভায় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি জানান, ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।

মন্ত্রী এর আগে সকালে নগরীর কাদিরগঞ্জে জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তিনি রাজশাহী কলেজ চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর পরিদর্শন করে ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসময় গ্রন্থাগারের জন্য তাঁর লেখা ও সম্পাদিত কয়েকটি বই উপহার দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাবি বিশ্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর এমএ বারী, প্রক্টর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান, জাদুঘরের পরিচালক এআরএম আব্দুল মজিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top