সাময়িক বরখাস্ত এএসআই হারুন
রাজশাহীর পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২০ ২০:৫৩; আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৩৫
-2020-12-03-14-52-17.jpg)
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ঘুরছে রাজশাহীর এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এর ঘুষ গ্রহণের ভিডিও।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি রাজশাহীর তাহেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই হারুনুর রশীদের বলে সনাক্ত হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনায় বুধবার (০২ ডিসেম্বর) জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাকে লাইনে ক্লোজ করে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
অন্যদিকে, এএসআই হারুনকে প্রত্যাহারের পর তার অপকর্ম নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
একের পর এক অভিযোগ বেরিয়ে আসছে তার বিরুদ্ধে। বের হয়ে আসছে চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, আটকবাণিজ্য ও মাদকবাণিজ্যে তার সম্পৃক্ততার অনেক কাহিনী। তবে টাকা গুনে প্রকাশ্যে ঘুষ নেয়ার ভিডিওটি লকডাউন সময়ের বলে জানা গেছে।
তবে এই বিষয়ে মুখ খোলেন নি অভিযুক্ত হারুন। লকডাউনে দোকানপাট খুললেই এএসআই হারুনকে ঘুষ দেয়া বাধ্যতামূলক ছিল।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, লকডাউনের সময়ে বাগমারার সাজুড়িয়া গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী লেদ আজাদকে হেরোইন ও ইয়াবাসহ আটক করে এএসআই হারুন মোটা টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। রামরামা হাজরাপুকুর গ্রামের সুবদের ছেলে গাঁজা ব্যবসায়ী সনাতন দাসকে মাদকসহ আটকের পর টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন এবং আটক গাঁজা হারুন আরেক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন।
হারুনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ এনে তারা জানান, তাহেরপুরের পার্শবর্তী পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামের ইমন নামে এক ছাত্রকে ১০টি ইয়াবা দিয়ে সাজানো মামলায় চালান করেন হারুন।
ভুক্তভোগী ইমনের পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে প্রতিপক্ষ এএসআই হারুনকে টাকা দিয়ে এই কাজ করায়।
এই কর্মকর্তার নিগ্রহের শিকার ভুক্তভোগীরা বলছেন, এএসআই হারুণের মূল কাজই ছিল দোকানে দোকানে চাঁদাবাজি করা আর মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা।
বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, করোনাকালে লকডাউনের সময় তাহেরপুর বাজারের একটি মোবাইল ফোনের দোকানে ঢুকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন এএসআই হারুন। জলন্ত সিগারেট মুখে রেখে সে দোকানদারের সঙ্গে দরদারের পর দুই হাজার টাকা ঠিক হয়। পরে টাকা গুণে দেখে সে আরও এক হাজার টাকা দাবি করেন। পুরো টাকা নিয়েই সে এক পর্যায়ে দোকান ত্যাগ করেন।
বিষয়টি ইতিমধ্যে পুলিশের নজরে এসেছে জানিয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, বিষয়টি নজরে আসার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাহেরপুর ফাঁড়ি থেকে এএসআই হারুনকে লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
- এসএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: