দেখা নেই সূর্যের, হাসপাতালে বাড়ছে ভিড়
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:৩৩; আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:২৭
-2020-12-12-17-32-01.jpg)
রাজশাহীর আকাশে সূর্যের আলোর ঢাল হয়ে রয়েছে ঘন কুয়াশা। সূর্যের দেখা নেই তিন দিন ধরে। কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি। শীতে কাপছেন ছিন্নমূল মানুষ। এমন আবহাওয়ায় অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন ঠাণ্ডাজনিত রোগে। ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে।
উত্তরাঞ্চলের এই জেলায় কয়েকদিন ধরেই দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। নেমে এসেছে শীত। শৈত্যপ্রবাহ এখনও শুরু না হলেও সূর্যের দেখা না পাওয়ায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, কুয়াশা কেটে গেলে শীত আরও বাড়বে।
শীতের প্রকোপে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইনডোর এবং আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
হাসপাতালে শীতজনিত রোগের রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি জানান রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌসও।
ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিবছরই শীতের শুরুতে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এবারও সে রকমই দেখা যাচ্ছে। তবে তাদের কাছে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রয়েছে। তারা চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, গত সপ্তাহের শুরু থেকে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এদের বেশিরভাগই ঠাণ্ডাজনিত ডাইরিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন।
শীতের এই প্রকোপ এক দুঃসহ যাতনা অসহায় মানুষদের। শীত নিবারনের জন্য রাজশাহীতে সকালে পথের ধারে খড়-কুটায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যাচ্ছে ছিন্নমূল মানুষদের। নিম্ন আয়ের মানুষেরা কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মহানগরীর বিভিন্ন ফুটপাতে গড়ে থাকা ভাসমান দোকানগুলোয়। শীতে মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখিও কষ্ট পাচ্ছে। কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতির কারণে দিনেও মাঝে মধ্যে হেড লাইট জ্বালিয়ে বিভিন্ন যানবাহনকে চলাফেরা করতে হচ্ছে।
শীতের এই বিরুপ প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে ফসলের মাঠেও। দেখা দিয়েছে বিপর্যয়ের আশঙ্কা। চলতি রবি মৌসুমে রাজশাহী অঞ্চলের মাঠে রয়েছে আলু, গম, পান, ডাল, ভুট্টা, সবজি ও বোরোর বীজতলা। আলুর ফসলে লেট ব্লাইট ছড়িয়ে পড়ছে। আর বোরো খেতের বীজতলায় দেখা দিয়েছে কোল্ড ইনজুরি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে, রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, রাজশাহীতে সর্র্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এসেছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসা এবং সূর্যের দেখা না পাওয়ার কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর তাপমাত্রা আরও কমবে। তখন শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।
- এসএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: