মার্চে সড়কে নিহত ৬০৪, আহত সহস্রাধিক
রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:০৬; আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৫৮

গত মার্চ মাসে দেশে সড়কে দুর্ঘটনায় ৬০৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ৮৯ জন ও শিশু ৯৭টি।
শনিবার (১২ এপ্রিল) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদেন এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, মার্চে দেশে ৫৮৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন এক হাজার ২৩১ জন।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
এতে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৩৩ জন, যা মোট প্রাণহানির ৪১.২২ শতাংশ। পথচারী নিহত হয়েছেন ১০৯ জন (১৮.০৪ শতাংশ) এবং যানবাহনের চালক ও সহকারী ৯৮ জন (১৬.২২ শতাংশ)।
এই সময়ে ৬টি নৌদুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ১৪ জন আহত হয়েছেন। ১৬টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়—মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২৩৩ জন (৩৮.৫৭ শতাংশ), বাসের যাত্রী ৩২ জন (৫.২৯শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-ড্রাম ট্রাক-কার্গো ট্রাক আরোহী ৫৬ জন (৯.২৭শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ আরোহী ১৭ জন (২.৮১শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১১৯ জন (১৯.৭০শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম) ২৭ জন (৪.৪৭শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১১ জন (১.৮২শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২২৮টি (৩৮.৮৪ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২৫৬টি (৪৩.৬১শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭২টি (১২.২৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৩১টি (৫.২৮শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।
এছাড়াও ১৫৩টি (২৬.০৬ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৫৮টি (৪৩.৯৫ শতাংশ) গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১৩টি (১৯.২৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়ায়, ৪৭টি (৮ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত এবং ১৬টি (২.৭২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
এদিকে প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার ১০টি প্রধান কারণ উল্লেখ করে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকের অদক্ষতা ও শারীরিক সমস্যা, ট্রাফিক আইনের অজ্ঞতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং চাঁদাবাজি।
এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা রোধে ১০ দফা সুপারিশ দিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষ চালক তৈরি, চালকের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং রেল ও নৌপথ সংস্কার।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: