সিলেট-১০ কূপে ৮,৫০০ কোটি টাকার তেল ও গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৩২; আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৩৬

- ছবি - ইন্টারনেট

সিলেট-১০ নম্বর কূপে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল হারে তেল পাওয়া যাবে বলেন জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি জানান, এই কূপে জ্বালানির মোট ৪টি স্তরের সন্ধান পাওয়া গেছে।

মজুদ থাকা এই গ্যাস, তেলের আর্থিক মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

প্রথম স্তরের ১,৪০০ মিটার গভীরতায় তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। যদিও প্রথম স্তরে কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি। তবে পুরো চিত্র বোঝার জন্য আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশে খনিজ তেলের আবিষ্কার এই প্রথম নয়। আশির দশকের শেষের দিকে হরিপুর ফিল্ডে প্রথম তেল আবিষ্কৃত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, সিলেট-১০ নং কূপে ২,৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন করা হয়। কূপে ৪টি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নীচের স্তরটির ২,৫৪০-২,৫৫০ মিটারে পরীক্ষা করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া গেছে, যার ফ্লোয়িং প্রেসার ৩,২৫০ পিএসআই। আর মজুদের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট।

২,৪৬০-২,৪৭৫ মিটারে আরও একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া গেছে, এখানে টেস্ট করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২,২৯০-২,৩১০ মিটারেও গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

এছাড়া, ১,৩৯৭-১,৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোন পাওয়া যায়, যেখানে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) পরীক্ষা করে তেলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, প্রাথমিকভাবে যার এপিআই গ্রাভিটি ২৯.৭ ডিগ্রি। এখান থেকে সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘন্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যায়। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে তেলের মজুদের পরিমাণ জানা যাবে।

নসরুল হামিদ জানান, ২,৫৪০ এবং ২,৪৬০ মিটার গভীরতায় একযোগে উৎপাদন করা হলে প্রায় ৮-১০ বছর এটি সাসটেইন (টেকসই হবে) করবে এবং এর গড় ভারিত মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৮,৫০০ কোটি টাকা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, "যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয়, তাহলে এটি ১৫ বছরের অধিক সময় টেকসই হবে।"



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top