লাগামহীন আলু-পেঁয়াজ-সবজির বাজারে

নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন জ্বলছেই। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে প্রধান সবজি আলু। ঝাঁজ কমছে না পেঁয়াজের। কাঁচা মরিচেরও দাম স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুণ। স্বস্তি নেই কোনো সবজি, মাছ ও মাংসের বাজারে। ষাটের নিচে নেই তেমন কোনো সবজি। শুক্রবার (০৭ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশের মানুষের প্রধান সবজি প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা। প্রায় দুই মাস ধরেই এই দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানির পরও বাড়তি দামে পেঁয়াজ। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। আবারও ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

বাজারে দেখা যায় ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০-২১০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও সোনালি পাকিস্তান জাতের মুরগী ৩৭০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। লেয়ার মুরগী লাল ৩৫০-৩৭০, সাদা ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকার উপরে।

মাছের বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ২০০ টাকার নিচে তেমন কোনো মাছ নেই। সাইজ ভেদে তেলাপিয়া ২০০-২৩০ ঠাকা ও পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ২৮০ থেকে শুরু করে সাইজ ভেদে ৪০০-৪৫০ টাকা। ৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ। চাষের কই বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়, চাষের শিং মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকায়।

এদিকে আবারও উত্তাপ ডিমের বাজারে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। হালি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০-৫৫ টাকা। যা কয়েক সপ্তাহ আগেও ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

সবজির বাজারে লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, টমেটো ৬০-৭০ টাকা, করলা ৮০-৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০-৫০ টাকা, মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, শশা ৫০-৬০, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০, কাঁচা কলা ডজন ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়াও শাকের মধ্যে পাট শাক ১৫-২০ টাকা, কলমি শাক ১০-১৫ টাকা, পালং ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৩০-৪০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।