সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট

রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ২২:০৩; আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:১০

- ছবি - ইন্টারনেট

ভারতে সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকর করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এটি চ্যালেঞ্জ করে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। এই আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী কোনো স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার আবার শুনানি হবে জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

এতে বলা হয়েছে, ওয়াকফ সংশোধিত আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী কোনো স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার আবার শুনানি। তার আগে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে ৭৩টি পিটিশন একত্রিত করে শুনল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ। বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন। সেই শুনানিতে নতুন আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। নতুন আইনে ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য হতে পারবেন অমুসলিমরাও।

সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, হিন্দুদের সম্পত্তি সংক্রান্ত বোর্ডে কি কোনো মুসলিমকে সদস্য হতে দেবে সরকার?

বেঞ্চ জানায়, তাদের সামনে মূলত দু’টি প্রশ্ন। এক, পিটিশনগুলো কি হাইকোর্টে পাঠানো হবে? দুই, আবেদনকারীরা কী নিয়ে সওয়াল করতে চান?

এক পিটিশনকারীর হয়ে প্রশ্ন করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি দাবি করেন, এই আইন সংবিধানের ২৬ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করছে। সংবিধানের এই ধারা স্বাধীন ভাবে ধর্মাচরণের অধিকার দিয়েছে। তার প্রশ্ন, জেলাশাসক সরকারের অঙ্গ। তিনি ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে তা অসাংবিধানিক।

‘ওয়াকফ বাই ইউজার’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সিব্বল। এই ধারায় দীর্ঘদিন ধরে কোনও সম্পত্তি ধর্মীয় বা সেবার স্বার্থে ব্যবহার করা হলে তা ওয়াকফ বলে ধরে নেওয়া হয় নথিভুক্তকরণ না হলেও চলে। সিব্বলের দাবি, এই ধারা ইসলাম ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পাল্টা সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী তুষার মেহতা।

প্রধান বিচারপতি তাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি বলছেন ওয়াকফ বাই ইউজার কোর্টের রায়ে হলেও আজ তা বাতিল?’ তিনি আরও জানিয়েছেন, বেশির ভাগ মসজিদ চতুর্দশ, পঞ্চদশ শতকে তৈরি। তাদের নথি দাখিল কী করে সম্ভব?



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top