ওসি প্রদীপ দম্পতির সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২১ ০৩:১০; আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ২১:৩৬

ফাইল ছবি
কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তাদের সম্পত্তি রাষ্ট্রের হেফাজতে নিয়ে রিসিভার নিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে আদালত এই নির্দেশ দেন।
 
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
 
দুদকের কোর্ট পরিদর্শক এমরান হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
গত বছরের ২৩ আগস্ট দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন প্রদীপের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গতকাল সোমবার রিসিভার নিয়োগের জন্য আদালতে আবেদন করেন।
ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের নামে থাকা সম্পত্তি ইতোমধ্যে আদালত ক্রোক করেছে। চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটার ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, একটি করে কার ও মাইক্রোবাস এবং কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাটে রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে রিসিভার নিয়োগ করা হোক। আদালত শুনানি শেষে মঙ্গলবার রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দেন দুই জেলা প্রশাসককে।
 
এর আগে গত বছরের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহতের বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওসি প্রদীপসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর অসুস্থতার কথা বলে থানা থেকে ছুটি নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান প্রদীপ। তাকে ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম থেকে আটক করে কক্সবাজার আদালতে হাজির করা হয়। তখন থেকে কারাগারে আছেন বিতর্কিত এই ওসি প্রদীপ।
 
অপর দিকে সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে গত ২৭ জুন অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের নির্দেশে প্রদীপ, তার স্ত্রী চুমকি কারণ ও কক্সবাজারের তৎকালীন পুলিশ সুপারসহ আটজনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।
 
দুদকের মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রদীপের বাবা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) একজন নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন। ১৯৯৫ সালে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে যোগ দেন প্রদীপ। ২০০২ সাল থেকে তার সম্পদ দৃশ্যমান হতে থাকে। সিনহা হত্যায় কারাগারে যাওয়ার পর থেকে টাকা দাবি করে না পেয়ে একাধিক ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার আদালতে প্রদীপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
 
 
 
সূত্র : বাসস


বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top