প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিল চেয়ে রিট

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২০ ০০:০০; আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:৫০

ফাইল ছবি

দেশের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে নারী ও পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) পাঁচজনকে বিবাদী করে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষক পদের প্রার্থী মো. তারেক রহমানের পক্ষে তিনি রিট আবেদনটি করেন।

রিটে সদ্য প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি বাদ দিয়ে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।

রিটে যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি)।

দায়েরকৃত রিটে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পর বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে যে, শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি) এর আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৫ হাজারের অধিক সহকারী শিক্ষক নেয়া হবে। কিন্তু ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোটা প্রথা বাতিল করে। পরবর্তীতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর গত ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা এবং পুরুষ প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে উক্ত প্রজ্ঞাপনের অষ্টম অনুচ্ছেদে বিষয়টি উল্লেখ করে। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র ও সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।

রিট আবেদনের পক্ষে উল্লেখ করা হয় কোটা বাতিলের বিষয়ে সঠিক প্রতিকার না পেলে দরখাস্তকারীসহ লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে।

এই বিষয়ে রিটকারীর আইনজীবীর সাথে কথা হয়। তিনি জানান, যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে, অথচ অন্য কোনও অনগ্রসর গোষ্ঠী কিংবা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিষয়ে কিছুই উল্লেখ নাই। যা তাদের প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।

উল্লেখ্য, এর আগে ও পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে আইনি প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। ২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর জারিকৃত বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে পুনরায় সংশোধিত আকারে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের জন্য একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সে নোটিশের কোনও জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করা হয়।

  • এসএইচ


বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top