নারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করলে সরকার ছাড় দেবে না, বললেন আসিফ মাহমুদ
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২৫ ১৮:৩৬; আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫ ০০:১৭

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বললেন, নারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার কোনো রকম চেষ্টা করলে সরকার ছাড় দেবে না।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এলজিইডি ভবনে শ্রেষ্ঠ আত্মনির্ভরশীল নারী সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. নিজাম উদ্দিন ও স্থানীয় প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়া উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে এলজিইডি জেন্ডার ও উন্নয়ন ফোরাম ও স্থানীয় প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
অনুষ্ঠানে ১০ জন সেরা আত্মনির্ভরশীল নারীকে পুরস্কৃত করা হয়।
এসময় আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করছি যে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মহল বিভিন্ন ধরনের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। কেউ ধর্ম ব্যবহার করে আবার কেউ ধর্মের আবেগ ব্যবহার করে নানাভাবে নারীদের নীচু করে দেখানোসহ হ্যারাজমেন্ট করার মতো কিছু ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমাদের ধর্ম এই বিষয় অ্যালাউ করে না। আমাদের ধর্ম নারীদের সর্বোচ্চ সম্মানের জায়গায় রাখার স্বীকৃতি দিয়েছে। যারা এ ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন কিংবা হচ্ছেন তাদের আমরা সতর্ক করে দিতে চাই। সরকার এ ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ছাড় দেবে না।
যে কোনো মহল থেকেই হোক না কেনো নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করলে সরকার কঠোর হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে, নারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র বা চেষ্টা করলে যেকোনো মহল থেকে হোক সেটা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
তিনি বলেন, সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করছে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। নারীরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগে সচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, সরকার নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্রকরণের বিষয় মাথায় রেখে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
আব্দুর রশীদ বলেন, সমাজে নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণ ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসে। এলজিইডি নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে। জেন্ডার সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে প্রান্তিক নারীদের আয় বেড়েছে। পরিবারে তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: