সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক: জবানবন্দীতে দিহান

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারী ২০২১ ২৩:৫৪; আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫ ০১:০৭

আনুশকা ও দিহান।

রাজধানীর কলাবাগানে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামী ইফতেখার দিহান। তবে সে জানিয়েছে পারস্পরিক সম্মতিতেই তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেয়েটির মৃত্যু হয়।

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সে আরো জানায়, তাকে আনোয়ার খান মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যায় দিহান। সেখানে ভর্তির আগে আনুশকাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান। তিনি বলেন, ধর্ষণ হয়েছে কি-না তা তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাপার।

পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আনুশকার সুরতহালে শরীরে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।

তিনি আরও বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের সোবহানবাগের বাসা থেকে কলাবাগানে বন্ধু দিহানের বাসায় যায় আনুশকা। সেখানে যাওয়ার পর আমরা জেনেছি, আনুশকা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

তার বন্ধুর ভাষ্যমতে, এরপর তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি করার আগেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারসহ দিহান নামে ওই ছেলেটিকে আটক করি। এরপর তাকে হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে, তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সম্মতির ভিত্তিতে শারীরিক মেলামেশা হয়।

এরপর অতিরিক্ত রক্তপাত হয়, এ কারণে আনুশকা সেন্সলেস হয়ে যায়। তখন তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, দৈহিক মেলামেশার বিষয়টি পরীক্ষা-নীরিক্ষা সাপেক্ষে প্রমাণের বিষয়। এর বাইরে অন্য কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা সেটি পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান।

 

  • এসএইচ


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top