এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২৫ ২০:১৯; আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:০০

ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আজ মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধিতে অর্থ বিভাগের সম্মতি প্রদান করা হয়েছে।

সরকারের বিদ্যমান বাজেট সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ১ নভেম্বর থেকে বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৭.৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২,০০০ টাকা) এবং ২০২৬ সালের ১ জুলাই থেকে অতিরিক্ত আরো ৭.৫ শতাংশসহ মোট ১৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২,০০০ টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে।

শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, পরবর্তী বেতনস্কেলে বর্ণিত অতিরিক্ত সুবিধাটি সমন্বয় করতে হবে। এমপিওভুক্ত ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১’, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, কৃষি ডিপ্লোমা ও মৎস্য ডিপ্লোমা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’ এবং সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন/আদেশ/পরিপত্র/নীতিমালা অনুসরণপূর্বক নিয়োগের শর্তাদি পালন করতে হবে।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা কোনো বকেয়া পাবেন না। ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সকল আর্থিক বিধি-বিধান অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। ভবিষ্যতে এ-সংক্রান্ত ব্যয়ে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জিও (সরকারি আদেশ) জারি করে তার চারটি কপি অর্থ বিভাগে পৃষ্ঠাংকনের জন্য পাঠাতে হবে।

বিগত ১৬ অক্টোবর অর্থ বিভাগের প্রবিধি-৩ শাখা হতে ২৬০ নম্বর স্মারকে জারিকৃত পত্রটি এতদ্বারা বাতিল করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে আজকের এই মুহূর্তটি শিক্ষা বিভাগের জন্য ঐতিহাসিক। শিক্ষক সমাজের ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিত করতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পথ সহজ ছিল না। নানা মতভেদ, বিতর্ক ও চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় দায়িত্বশীলভাবে একটি ন্যায্য ও টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করেছে।’

শিক্ষা উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার বিস্তারের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে আরও মর্যাদাসম্পন্ন অবস্থানে নিয়ে যেতে পারব।’

সূত্র : বাসস



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top