রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্রকে বদলে দিচ্ছে সরকার: ফখরুল

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২১ ১৫:১৪; আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ১৬:০৩

ফাইল ছবি

ক্ষমতাকে একচ্ছত্র করতে সরকার রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্রকে বদলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহ।

‘জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের সরকারি সিদ্ধান্ত: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার পুনরায় লুণ্ঠনের এক নতুন ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা আয়োজন করে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশনস (বিএনআরসি)।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে সরকার পুরো রাষ্ট্রকাঠামোটাকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। এটা ভয়াবহ একটা অপরাধ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে রাষ্ট্রের যে গণতান্ত্রিক চরিত্র আমরা নির্ধারণ করেছিলাম, সেই গণতান্ত্রিক চরিত্রকেই তারা পুরোপুরিভাবে বদলে দিতে শুরু করেছে।’

‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই রাষ্ট্রের চরিত্র পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে। আর সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনও একটা বিশাল ভুমিকা পালন করেছে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে রাজনৈতিকভাবে সমাধান আনতে হবে। একটা কথা সত্য যে এই সমস্যার সমাধান একমাত্র রাজনৈতিকভাবেই সম্ভব। আর রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হলে এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আর সেজন্য প্রয়োজন ঐক্য, জনগনের ঐক্য। সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে, যারা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদেরকে একটা গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে, একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে সত্যিকার অর্থেই জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় একটা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তার দিকনির্দেশনা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে সচেষ্ট হব। আমরা আশা করি— আগামী দিনগুলোতে সেই লক্ষ্যেই আমাদের সমস্ত কাজ, আমাদের শক্তি, আমাদের মেধাকে আমরা নিয়োগ করব।’

স্থায়ী কমিটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘চোরে শোনে না ধর্মের অনুশাসন। এই সরকারে গায়ের জোরের সরকার, ভোটবিহীন সরকার। তারা তো কোনো সময়ে ধর্মের অর্থাৎ আমরা যে সংবিধানের অনুশাসনের কথা বলছি তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) মানবে না।’

‘সুতরাং এ সমস্যার একমাত্র সমাধান জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা। সেজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এছাড়া আমাদের অন্য কোনো বিকল্প নাই’— বলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

ভার্চুয়াল এই আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নীতি নির্ধারণী বক্তব্য রাখেন। বিএনআরসির পরিচালক বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ পরিচালনায় আড়াই ঘণ্টার ভার্চুয়াল আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরুডউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব আব্দুর রশিদ সরকার, ড. মোহাম্মদ জকরিয়া ও বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।



বিষয়: বিএনপি


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top