কঠোর অবস্থানে সরকার

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর নির্দেশনা

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:২৬; আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:৫৬

ফাইল ছবি

বালু উত্তোলনের জন্য সরকার নির্ধারিত বালু মহাল থাকলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষতির মুখে ফেলছে। এবার এসব অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে মাঠ প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মন্ত্রিপরিষদের কড়া বার্তা সম্বলিত চিঠিতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

আদেশে উল্লেখ করা হয়, পদ্মাসেতু এবং রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হয়।

অসাধু ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলনে মানছে না বিদ্যমান কোন আইন। ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় নদীভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।

অবৈধ এসব কর্মকান্ড বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ও নির্দেশ দেয়া হয়। এমতাবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সব প্রকল্প সংলগ্ন এলাকা এবং সব নদী, জলাভূমি, নিমাঞ্চল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

এসব অবৈধ কর্মকান্ডে স্থানীয় অনেক প্রভাবশালীরা জড়িতবলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে পরিবেশ-প্রতিবেশ পড়ছে হুমকির মুখে। দেশের বড় কয়েকটি প্রকল্প বিশেষ করে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নদী শাসনেও বালু উত্তোলন নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

এমন অবস্থায় বাধ্যতামূলকভাবে সরকারকে এসব অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধে সম্প্রতি মাদারীপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মাদারীপুরের স্থানীয় রাজনৈতিক চাপে ২৮ আগস্ট জেলার ডিসির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। পরে সরকার ও বিচার বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে ৬ সেপ্টেম্বর ডিসির বিরুদ্ধে করা সেই মামলা প্রত্যাহার করা হয়। ওইদিনই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এসব অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধে সবচেয়ে বড় বাঁধা স্থানীয় প্রভাবশালীরা। মাঠ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে উদ্যোগ নিতে গেলেই স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে প্রশাসনকে। বিষয়টি বর্তমান সময়ে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।

মাদারীপুরের ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে এমন হয়রানি বন্ধে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।

অ্যাসোসিয়েশন তাদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান ‘মাদারীপুরের একজন স্থানীয় প্রভাবশালীর’ কারণে ডিসির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল বলে তারা অভিযোগও করেছিল।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধকে কেন্দ্র করেই ঘটে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। স্থানীয়ভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের পদক্ষেপকে একটি বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয় প্রভাবশালী যারা এই অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতেই উল্লিখিত আদেশ দেয়া হয়েছে। যাতে মাঠ প্রশাসন সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে পারে।

  • এসএইচ


বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top