ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে বিএনপির নেতাকর্মীরাই সাড়া দেয়নি

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:০৭; আপডেট: ২ মে ২০২৪ ১৪:৪৩

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মন্ত্রী বলেন, যতদিন তারেক জিয়া তাদের নেতা থাকবে, বিএনপির ততদিন কোনো সম্ভাবনা নেই।প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তাদের এই ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেয়নি, এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীরাও সাড়া দেয়নি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অনেক পণ্যের দামও কমেছে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, হরর সিনেমা যখন দেখা হয় তখন দেখা যায় দৈত্য মানুষ পোড়ায়, আবার সেই পোড়া মানুষের মাংস খায়। বিএনপি যেভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, মানুষের ওপর হামলা করেছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তারা তো দৈত্য। হরর মুভিতে দেখা এসব বিএনপির বেলায়ও প্রযোজ্য। হরর মুভির মতো বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ বিদেশি সহযোগিতা নিয়ে ব্যাংক লুট, ডাকাতিসহ সাম্প্রমিক নানান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের সঙ্গে আশপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে, পার্শ্ববর্তী দেশে যারা এরই মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল, তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের কাছে এসেছে বলে জানা গেছে। দেখুন, তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে, এরই মধ্যে ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্ত করা হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের ঈদের আগে কাছে পেতে স্বজনরা আকুল আবেদন জানিয়েছেন, নাবিক ও জাহাজের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা কতটুকু এগিয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা আছে, সর্বমুখী প্রচেষ্টা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে। নাবিকরা ভালো আছেন। তাদের খাবার-দাবারেরও কোনো অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছেন। যেহেতু আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে, আশা করছি সহসা তাদের মুক্ত করা সম্ভবপর হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেই জাহাজের আশপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের ওপর নানামুখী চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে। সেজন্য দিনক্ষণ বলা সম্ভবপর নয়। তবে, এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজে যারা চাকরি করেন, ঈদের আগে পরে হিসাব করে তাদের কোনো ছুটি হয় না। তারা যান ছয় মাস কিংবা এক বছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো তারা ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার কথা ছিল না।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং মজুতদার চেষ্টা করেছিলেন বাজার অস্থিতিশীল করার জন্য। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। ঈদকে সামনে রেখেও সবসময় বাংলাদেশে অসাধু সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়। সেটিকেও কঠোর হস্তে দমন করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।

‘এক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আমি গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানাবো, রমজানের সময় বাজার যে মোটামুটিভাবে স্থিতিশীল আছে এবং কিছু কিছু পণ্যের দামও যে কমেছে, সেটিও প্রচার করা দরকার। কোনো পণ্যের দাম বাড়লে গণমাধ্যমে সেটি যেমন প্রচার হয়, পণ্যের দাম কমলে সেটিও প্রচার করা দরকার।’ যোগ করেন মন্ত্রী।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top