করোনার প্রভাব

পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিহীন আ’লীগের তিন সহযোগী সংগঠন

রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২০ ১৯:১১; আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২০ ১৮:৪১

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লোগো

বিগত আট মাস ধরে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগর শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়ে। জাতীয় সম্মেলনের আট মাসেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় এভাবেই সংগঠন তিনটির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের কারণে মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের কার্যক্রমে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের রেওয়াজ অনুযায়ী, শোকের মাস আগস্টে সাংগঠনিক তৎপরতা স্থবির থাকে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সংগঠন তিনটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখন অনেকটাই অনিশ্চয়তার মুখে। খবর জাগো নিউজের।

সংগঠন তিনটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় সম্মেলনের পরপরই প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের জন্য মূল দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে জমা দেয় কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব।

কিন্তু আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন, সরকারের বর্ষপূর্তি, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকেন্দ্রিক ব্যস্ততা এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয়ায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিতে পর্যাপ্ত সময় পাননি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তবে শীর্ষ নেতারা আশা করছেন, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি সুবিধাজনক সময়েই অনুমোদন পাবে।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সংগঠন তিনটির কমিটি অনুমোদন বা সাংগঠনিক তৎপরতার চেয়েও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।

একই সঙ্গে শোকের মাসে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন ও সাংগঠনিক তৎপরতা কিছুটা স্থির থাকে। শোকের মাস আগস্ট যাওয়ার পর করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হবে বলে মনে করেন নেতারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, আগস্ট মাসটা আমাদের জন্য শোকের, খুব কষ্টের। এই সময়ে কোনো কমিটি বা কোনো ঘোষণা দেয়া হয় না। এগুলো আগস্ট মাসের পরে হবে ইনশাল্লাহ। ততদিনে করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমবে, আশা করি।

#এনএস



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top