ধর্ষণ মামলার পর পলাতক পুঠিয়ার পৌর মেয়র

রাজশাহীর জেলার পুঠিয়া পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

এদিকে থানার পুলিশ ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে মেয়র আল মামুন পলাতক রয়েছেন। ভুক্তভোগী ওই নারী (২৪) পুঠিয়া সদর এলাকার একজন ব্যবসায়ীর মেয়ে। অপরদিকে মেয়র আল মামুন গন্ডগোহালী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেয়র ভুক্তভোগীর সঙ্গে জোরপূর্বক একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে থানায় ধর্ষণের একটি অভিযোগ দেন। সোমবার সকালে অভিযোগটি মামলাভুক্ত করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, গত এক বছর আগে পৌরসভায় একটি চাকরির জন্য মেয়রের কাছে গিয়েছিলাম। এরপর তিনি বিভিন্ন আশ্বাসে নিয়মিত ধর্ষণ করত। এক পর্যায়ে তার এই অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় তিনি আমাকে বিয়ের আশ্বাসে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করে।

সম্প্রতি মেয়র আর আমাকে চাকরি দেবে না এবং বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। যার কারণে মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করি।

ওই নারী আরও বলেন, মেয়র একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি। তিনি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ও বিভিন্ন আশ্বাসে নিয়মিত বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে অসামাজিক কাজ করে আসছে। তার বিরুদ্ধে আগেও থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আব্দুল বারী মেয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার রাতে একজন মহিলা বাদী হয়ে থানায় এ অভিযোগটি দায়ের করেন। সোমবার সকালে মামলাভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর মেয়রকে আটকের চেষ্টা চলছে। তবে মেয়র পলাতক রয়েছে। ওসি বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে সোমবার দুপুরে রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।