নাটোরের লালপুরে রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২৪ ২০:০৬; আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪ ০৬:৪৮

ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমছিলান ইউনিয়নের ঘাটছিলান গ্রামে ধানের চাতাল থেকে বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের দেখা মিলছে। এতে উপজেলার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

লালপুর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলছে।

জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে লালপুর উপজেলার ঘাটছিলান গ্রামে ধানের চাতালের ওপরে একটি রাসেলস ভাইপারের দেখা মেলে। পরে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন স্থানীয়রা। এর আগে ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা ঈশ্বরদীর একাধিক এলাকায় এই রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা গেছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকদিন ধরে উপজেলার পদ্মা নদীর চরাঞ্চল তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করা মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।

স্থানীয়দের দাবি, একের পর এক বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলছে। তবে ঈশ্বরদী এলাকার কৃষক রাজিব জানান, গত ১৬ মে আমার জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখি ধানের মুঠির নিচে একটি সাপ শুয়ে আছে। সবাই মিলে সাপটিকে মেরে ফেলি। পরে দেখি এটি একটি বিষধর রাসেলস ভাইপার। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাদশার আলু খেতে আরো দুটি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা গেছে।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. সুরুজ্জামান শামীম এ বিষয়ে বলেন, চন্দ্রবোড়া এটি খুব তেজি। আতঙ্কিত হলে দংশন করে। লম্বা বহির্গামী বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক এই সাপের দ্বারা দংশনের শিকার হয়। বিষক্রিয়ায় মানুষের রক্ত জমাট হয়ে যায়। অত্যধিক রক্তক্ষরণে অনেক দীর্ঘ যন্ত্রণার পর রোগীর মৃত্যু ঘটে।

তিনি আরো বলেন, সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে চন্দ্রবোড়া সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। এরা বছরের যেকোনো সময় প্রজনন করে। একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো চন্দ্রবোড়া সাপের ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দেওয়ার রেকর্ড আছে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top