আদালতে মামলার পর অবশেষে গ্রেফতার নাসির

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২১ ০৩:২৭; আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৫৮

সংগৃহীত ছবি
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দিঘা গ্রামের আফসারের বাড়ি সংলগ্ন মার্কেটের ঘর ভাড়া নিয়ে এনজিওর ব্যবসা শুরু করেন একই এলাকার নাসির উদ্দীন। সেই ব্যবসার আড়ালে শুরু করেন দাদন ব্যবসাসহ আইনবিরোধী অনৈতিক কর্মকান্ড।
 
তার অনৈতিক অসামজিক কার্যকলাপ, মারধর, হুমকি প্রদর্শনসহ নিজ বাড়িতে প্রবেশে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে একাধিকবার বাঘা থানায় গিয়েছিলেন আফসার আলী।  গত ৩ মে রাজশাহীর জেলা আদালতে বাড়িতে হামলা, লুটতরাজ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে মামলা করেছেন আফসার আলী। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে এজাহারভূক্ত করার জন্য থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
 
গত রোববার (১৬ মে) থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ওইদিনই নিজ বাড়ি থেকে নাসিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি একই উপজেলার দীঘা দাবিয়াতলা গ্রামের মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে।
 
আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২০ এপ্রিল, বেলা ১০টা নাগাদ ভাড়াটিয়া নাসির উদ্দীন ও তার সমর্থিত লোকজন, হাসুয়া, ফালা, হাতুড়ি, চাইনিচ কুড়াল, রামদা, ছোরা নিয়ে বাড়িতে হামলা করে। তারা ঘরের তালা ভেঙ্গে চেয়ার টেবিল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, আসবাবপত্রসহ মূল্যবান কাগজপত্র, আড়াইভরি ওজনের সোনার গহনা, দেয়ালে সেট করা মনিটর ও খাটের তোষকের নীচে থাকা নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এছাড়াও ঘরে থাকা জিনিসপত্র ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে। সেখানে লোকজন জড়ো হলে তারা মালিক আফসারসহ উপস্থিত লোকজনকে ভয়ভীতি দেখায়।
 
আফসার আলী জানান, কয়েক মাস আগে বাড়ি সংলগ্ন মার্কেটের ৩টি রুম নাসিরকে ভাড়া দিয়ে ঢাকায় এক কোম্পানীতে চাকরিতে যাই। এনজিও ব্যবসা পরিচালনার জন্য পরে আরো ২টি রুম ভাড়া নেন নাসির। কিন্তু সেই ব্যবসার আড়ালে দাদন ব্যবসাসহ আইনবিরোধী অনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করেন।
 
২২ ফেব্রুয়ারি’২০২১ কর্মস্থল ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার পর, তার অনৈতিক কাজগুলো চোখে পড়ে। তাকে ভাড়া নেওয়া ঘরগুলো ছেড়ে দিতে বলে। এতে নাসির উদ্দীন ক্ষিপ্ত হয়ে, ওইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে আমাকে হুমকি দেয় ও মারপিট করে। এ সময় তার তৈরিকৃত দলিলে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। স্বাক্ষর না দেওয়ায়, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। মুঠোফোনে বড় ভাইকে জানানোর পর পাশের লোকজন ও বাজারের নাইট গার্ডদের সহযোগিতায় আমাকে উদ্ধার করে।
 
সর্বশেষ ২০ এপ্রিল লোকজন নিয়ে সেই ভাড়াটিয়া বাড়িতে হামলা করে নাসির। ওই বাড়িতে হামলায় নাসিরের সাথে যুক্ত ছিল ১০ ব্যক্তি। এ ঘটনার পর অভিযোগ নিয়ে ফের বাঘা থানায় গিয়েছিলেন আফসার আলী। এ বারও পুলিশ মামলা রেকর্ড না করে আদালতে যাওযার পরামর্শ দেয়। বাধ্য হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি।
 
বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান জানান, সমাঝোতা করতে না পেরে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা দায়েরের পর, নাসিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হযেছে।
 
 
 
 
 
এসকে

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top