প্রথমবার শূন্য, দ্বিতীয়বার গণনায় পেলেন ৮৩ ভোট

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৪৮; আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৫০

ফাইল ছবি

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের ১নং বেলঘরিয়া ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ছিলেন আবু তালেব। ভোটগ্রহণ শেষে রোববার রাতে ফল ঘোষণাকালে জানানো হয়, তিনি পেয়েছেন শূন্য ভোট। পরে দ্বিতীয়বার গণনায় পেলেন ৮৩ ভোট পেয়েছেন।

মেম্বার প্রার্থী আবু তালেবের দাবি, তার সব ভোটের সাথে নিজের দেয়া ভোটটিও চুরি করেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। ইউসুফপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর বেলঘরিয়া ওয়ার্ডের বেলঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

আবু তালেব বেলঘরিয়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডে এর আগেও মেম্বার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। এবারো তিনি মোরগ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। তার প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন রিংকু আহমেদ। তিনি ফুটবল প্রতীক নিয়ে দাঁড়িয়ে এক হাজার ১১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

ভোট গণনা শেষে ফলাফলে জানানো হয়, আবু তালেব শূন্য ভোট পেয়েছেন। ফলাফলের এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রার্থীর সর্মথকরা আন্দোলন শুরু করেন। তারা প্রশাসনসহ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে আবু তালেব সাংবাদিকদের মোবাইলে ভোট প্রদানের একটি ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, ‘এই যে ছেলেটা মোরগ প্রতীকে ভোট দিয়েছে, মোবাইলে ছবিও তুলেছে। তার ভোটটা কোথায় গেলো? যে ব্যক্তি ভোটে দাঁড়িয়েছে সে কি তার নিজের ভোটটাও দেয় না? পৃথিবীর কোথাও কি এমন ঘটনা ঘটেছে? এটা কীভাবে সম্ভব?’

এ সময় আবু তালেবের সমর্থকরা ‘চোর’ ‘চোর’ বলে চিৎকার দিয়ে বলতে থাকেন ‘বিচার চাই বিচার চাই, ভোট চোরের বিচার চাই, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, ‘এই নির্বাচন মানি না, বিচার চাই, বিচার চাই।

ভোটকেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে পুনরায় ভোট গণনা করা হয়। এতে দেখা যায়, আবু তালেব ৮৩ ভোট পেয়েছেন।

জানতে চাইলে বেলঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার সাংবাদিকদের বলেন, ভোটের এক বান্ডিল ব্যালট পেপার টেবিলের নিচে পড়ে থাকায় তাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি। এ ভুলের কারণে তারা মনে করেছেন আবু তালেব শূন্য ভোট পেয়েছেন। কিন্তু পরে টেবিলের নিচে ব্যালট পেপার খুঁজে পেলে পুনরায় ভোট গণনায় তার প্রাপ্ত ফলাফলে মোট ৮৩ ভোট নিশ্চিত হওয়া যায়।

 

এসকে




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top