পর্দা উঠছে ফুটবল মহাযজ্ঞের, প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি কাতার-ইকুয়েডর

পর্দা উঠছে ফুটবল মহাযজ্ঞের, প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি কাতার-ইকুয়েডর

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২২ ০৮:০২; আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:৩২

ছবি: সংগৃহিত

কাতার-ইকুয়েডর ম্যাচ দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসর। স্বাগতিক দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলবে কাতার। অপরদিকে, লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর মাঠে নামবে নিজেদের চতুর্থ বিশ্বকাপে। আল বাইত স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত ১০টায়।

বিশ্বকাপ ২০২২ এর কাউন্ট ডাউন প্রায় শেষ। স্বাগতিক দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে এবারই প্রথম সুযোগ পেয়েছে কাতার। গ্রুপ এ’র লড়াইয়ে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে শুরু হবে দেশটির বিশ্বকাপ যাত্রা। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য বার্সেলোনার বর্তমান কোচ জাভি হার্নান্দেজকে না পেয়ে আরেক স্প্যানিশ ফেলিক্স সানচেজের অধীনে কাতার যথেষ্ট গোপনীয়তার সঙ্গে সেরেছে প্রস্তুতি। ইউরোপের ১০টি দেশের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচও খেলেছে স্বাগতিকরা।

কাতার অনুশীলন করেছে ৩-৫-২ ও ৫-৩-২ ফরমেশনে। ৩-৫-২ পদ্ধতিতে বলের দখল রেখে খেলার পাশাপাশি ৫-৩-২ পদ্ধতিতে কাউন্টার অ্যাটাকিং প্ল্যান নিয়েও কাজ করেছে তারা। কাতার দলে একশোর অধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ৫ জন খেলোয়াড়ের। তাদের মধ্যে অন্যতম হাসান আল-হাইদোস খেলেছেন ১৬৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। দলের সাফল্য নির্ভর করবে সেন্টার ব্যাক বাসাম আল-রাওয়ি, লেফট উইঙ্গার হোমাম আল-আমিন এবং দুই ফরোয়ার্ড আকরাম আফিফ ও আল-মোয়েজ আলীদের ওপর।

‘লা ট্রাই’ নামে পরিচিত লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর ২০০২ সালে বিশ্বকাপে প্রথম সুযোগ পায়। এখন পর্যন্ত ৩ বিশ্বকাপে ১০টি ম্যাচে মাঠে নেমে ৪টিতে জয়, ১টি ড্র এবং বাকি ৫টি ম্যাচে হেরেছে ইকুয়েডর। দলটির ক্ষেত্রে ৪-৪-২ সবচেয়ে সাধারণ ফর্মেশন হলেও কোচ আলফারো প্রতিপক্ষের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তন আনেন কৌশলে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তিনি দলকে খেলিয়েছেন ৩-৫-২ পদ্ধতিতে। তবে সফল না হওয়ায় বিশ্বকাপের মূল পর্বে ইকুয়েডর খেলতে পারে ৪-৩-৩ ফরমেশনে।

ইকুয়েডর শিবিরে চোখ রাখতে হবে পেইরো হিনকাপির দিকে। বায়ার্ন লেভারকুসেনের হয়ে খেলা এই সেন্টার-ব্যাক ইতোমধ্যে সাড়া জাগিয়েছেন ক্লাব ফুটবলে। আছেন ভিলারিয়ালের পারভিস এস্তপিনান। এছাড়া ইকুয়েডরের অন্যতম তারকা ময়েসেস কাইসেডোর সাথে গঞ্জালো প্লাটা কিংবা এনার ভ্যালেন্সিয়া হতে পারেন ইকুয়েডরের তুরুপের তাস।

আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে এখন পর্যন্ত তিন বারের দেখায় ১টি করে জয় আছে দু’দলের। তবে শেষ ম্যাচে ৪-৩ গোলে ইকুয়েডরকে হারিয়েছিল কাতার। স্বাগতিক দেশ হিসেবে সমর্থকদের আনন্দে ভাসাতে তেমন কিছু করার স্বপ্নই হয়তো দেখছে ফেলিক্স সানচেজের শিষ্যরা।

#এমএস



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top