আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই নায়ক মুস্তাফিজ

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৪ ১১:০৬; আপডেট: ২ মে ২০২৪ ০৫:৩১

ছবি: সংগৃহীত

চেন্নাই সুপার কিংসে নিজের অভিষেক রাঙালেন মুস্তাফিজুর রহমান। উপহার দিলেন আইপিএলে নিজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। সাথে আইপিএলে অভিষিক্ত রাচিন রবীন্দ্র ব্যাট হাতে খেললেন ঝড়ো ইনিংস। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে অনায়াসে হারিয়ে আইপিএলের শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরু করল চেন্নাই।

আইপিএলের ১৭তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে শুক্রবার বেঙ্গালুরুকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে চেন্নাই। চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে ১৭৪ রানের লক্ষ্য ৮ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

নিজের প্রথম ২ ওভারে স্রেফ ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে বিরাট কোহলির দলকে নাড়িয়ে দেন মুস্তাফিজ। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার।

আইপিএলে মুস্তাফিজের এটি ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। আগের সেরা ছিল ২০১৬ সালে তার প্রথম আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১৬ রানে ৩ উইকেট।

প্রথমবার এই টুর্নামেন্টে খেলতে এসে রান তাড়ায় ৩টি করে ছক্কা ও চারে ১৫ বলে ৩৭ রান করেন নিউজিল্যান্ডের তরুণ ব্যাটসম্যান রাভিন্দ্রা।

চেন্নাইয়ের নতুন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের শুরুটা হলো দারুণ। আগের দিন মাহেন্দ্র সিং ধোনির জায়গায় এই ওপেনারকে দায়িত্ব দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

চেন্নাইয়ের বিপক্ষে তাদের মাঠে এই নিয়ে টানা আট ম্যাচ হারল বেঙ্গালুরু। এই মাঠে বেঙ্গালুরু একমাত্র জয়টি পেয়েছিল সেই ২০০৮ সালে।

টসজয়ী বেঙ্গালুরু ৪ ওভারে বিনা উইকেটে তুলে ফেলে ৩৭ রান। এরপর মুস্তাফিজকে আনা হয় আক্রমণে। নিজের প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট নেন ‘কার্টার মাষ্টার’ খ্যাত এই বোলার। ৪ রান দিয়ে দু প্লেসি (২৩ বলে ৩৫) ও পাতিদারকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ।

পরের ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ‘গোল্ডেন ডাক’ উপহার দেন দিপক চাহার। দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টার করেন কোহলি ও ক্যামেরন গ্রিন। ঠিক কখনই আবার জোড়া আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। দ্বাদশ ওভারে তিন বলের মধ্যে এই দুই ব্যাটসম্যানকেই বিদায় করে দেন বাংলাদেশের তারকা।

মুস্তাফিজের বোলিং ফিগার তখন ২-০-৭-৪! আর বেঙ্গালুরুর রান ৫ উইকেটে ৭৮। দুই মাস পর মাঠে ফেরা কোহলি ২১ বলে করেন ২০ রান। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ১২ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন তিনি।

ষষ্ঠ উইকেটে আনুজ রাওয়াত ও দিনেশ কার্তিকের ৫০ বলে ৯৫ রানের জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় বেঙ্গালুরু। মুস্তাফিজের করা ১৯তম ওভারে আসে ১৬ রান।

আনুজ ২৫ বলে ৩টি ছক্কা ও ৪টি চারে করেন ৪৮ রান। কার্তিক ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

রান তাড়ায় রুতুরাজ ও রাবিন্দ্র ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটিতে সুর বেঁধে দেন। রুতুরাজ বিদায় নেন ১৫ বলে ১৫ রান করে। রাভিন্দ্র ঝড় থামে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে।

পরের দুই ব্যাটসম্যান আজিঙ্কা রাহানে ও ড্যারিল মিচেল ২টি করে ছক্কা মারলেও ইনিংস টেনে নিতে পারেননি। রাহানে ১৯ বলে ২৭, মিচেল ১৮ বলে করেন ২২ রান।

এরপর অবিচ্ছিন্ন ৬৬ রানের জুটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন শিভাম দুবে ও রবীন্দ্র জাদেজা। দুবে ২৮ বলে ৩৪ ও জাদেজা ১৭ বলে করেন ২৫ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ২০ ওভারে ১৭৩/৬ (কোহলি ২১, দু প্লেসি ৩৫, পাতিদার ০, ম্যাক্সওয়েল ০, গ্রিন ১৮, আনুজ ৪৮, কার্তিক ৩৮*; চাহার ৪-০-৩৭-১, তুষার ৪-০-৪৭-০, থিকশানা ৪-০-৩৬-০, মুস্তাফিজ ৪-০-২৯-০, জাদেজা ৪-০-২১-০)

চেন্নাই সুপার কিংস: ১৮.৪ ওভারে ১৭৬/৪ (রুতুরাজ ১৫, রাভিন্দ্রা ৩৭, রাহানে ২৭, মিচেল ২২, দুবে ৩৪*, জাদেজা ২৫*; সিরাজ ৪-০-৩৮-০, দায়াল ৩-০-২৮-১, জোসেফ ৩.৪-০-৩৮-০, কার্ন ২-০-২৪-১, মায়াঙ্ক ২-০-৬-০, গ্রিন ৩-০-২৭-২, ম্যাক্সওয়েল ১-০-৭-০)

ফল: চেন্নাই সুপার কিংস ৬ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: মুস্তাফিজুর রহমান



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top