শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষক লাউঞ্জে ক্লাস, ইবি শিক্ষকের বাঁধা

ইবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৪২; আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৪৩

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে শিক্ষক লাউঞ্জ দখল করে ক্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষের কাছে শ্রেণিকক্ষের দাবি জানিয়েও কোনো ধরনের সুরাহা না মেলায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান তারা।

এদিকে শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লাউঞ্জ ফেরতের দাবিতে ইলেকট্রনিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস. এম. আব্দুর রহিম ওই কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগটির ছয়টি ব্যাচের জন্য মাত্র দুইটি শ্রেনিকক্ষ রয়েছে। এতে ঠিকমতো ক্লাস করতে না পারায় সেশনজটের কবলে পড়ছেন তারা। সমস্যা সমাধানে দফায় দফায় ভিসিকে জানিয়ে আশ্বাস পেলেও কার্যত কোনো সুরাহা হয়নি।

এতে সংকট কাটাতে বাধ্য হয়ে শিক্ষক লাউঞ্জ দখল করে শ্রেনিকার্যক্রম চালাতে হচ্ছে তাদের। শনিবার সকালে সেখানে ক্লাস করতে গিয়ে তারা ওই শিক্ষকের দ্বারা হেনস্তার শিকার হন বলে অভিযোগ করেন।

দুপুর ২টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডি ও এস্টেট দফতর ওই কক্ষের তালা ভাঙতে গেলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। সেখানে প্রক্টরের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখান থেকে চলে আসেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে ভিসির বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিভাগের শিক্ষকরা আলোচনায় বসেন।

অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে ইইই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম আবদুর রহিম বলেন, প্রতিদিনের মতো আজ সকালে নাস্তা করতে এসে দেখি শিক্ষক লাউঞ্জ তালাবদ্ধ। জানতে পারলাম কেমিস্ট্রি বিভাগ তালা দিয়েছে। শিক্ষক লাউঞ্জ একটা বিভাগ দখল করে নিবে কেন? শিক্ষকদের রুমটা দখল করে নেওয়ার ঘটনা আমার আত্মসম্মানে লাগায় আমি এখানে বসেছি। শিক্ষক সমিতির আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেছি কিন্তু সমাধান না হলে আবারো কর্মসূচি পালন করবো।

এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শরিফ মোঃ আল-রেজা বলেন, সংকট সমাধানে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভিসি স্যারের সাথে দেখা করলে তিনি আশ্বস্ত করলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা হয়তো ওই রুমে তালা দিয়েছে। আশা করি সংকটের বিষয়ে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন। ওই শিক্ষকের অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, এটা সমাধান করার জন্য কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক সমিতির সভাপতি-সম্পাদক, সায়েন্স ফ্যাকাল্টির তিনজন ডিন নিয়ে এ কমিটি করা হয়েছে। তারা এখনো আমাদের রিপোর্ট দেয়নি। রিপোর্ট দিলে সমাধান হয়ে যাবে।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top