শিবির নেতা নোমানী হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
রাবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৫ ১৬:৪২; আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫ ২০:২৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সেক্রেটারি শহীদ শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনীদের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বৃহস্পতিবার (১৩ই মার্চ) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারের এ সমাবেশ হয়।
এর আগে জোহর নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিনোদনপুর বাজারে এসে শেষ হয়।
এসময় 'ইসলামী ছাত্রশিবির জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ', 'বিচার বিচার চাই, নোমানী হত্যার বিচার চাই', 'জামাত-শিবিরের একশন ডাইরেক্ট একশন', 'আমার ভাই কবরে, গুনি কেন বাহিরে', 'কোন বীর শিবির', ' ফাঁসি ফাঁসি চাই, নোমানী হত্যার ফাঁসি চাই', 'সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এ ক্যাম্পাসে হবে না', 'আজকের এ দিনে নোমানী তোমায় মনে পরে' সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়।
রাবি শিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, "২০০৯ সালের ১৩ই মার্চ নোমানী ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডদের অন্যতম ছিলেন তৎকালীন ভিসি আব্দুস সোবহান, প্রক্টর চৌধুরী মো. জাকারিয়া এবং ছাত্র উপদেষ্টা (সাবেক ভিসি) গোলাম সাব্বির সাত্তার। নোমানী ভাইয়ের হত্যার পুরস্কার স্বরূপ তাদেরকে পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।"
এসময় তিনি আরো বলেন, "আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমরা দেখেছি নোমানী হত্যা মামলা আদালত খারিজ করে দিয়েছিলো। প্রশাসন যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা রিনিউ না করে তাহলে আমরা আইন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে আমরা মাঠে নামবো৷"
সমাবেশে রাবি শাখা শিবির সাবেক সভাপতি হাফেজ নুরুজ্জামান বলেন, "দেশকে অস্থিতিশীল ও ভারতের তাবেদারি করার জন্য লেয়াজু করে ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে। এই দেশে ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য তারা প্রথমে ইসলামি ছাত্রশিবিরেরকে টার্গেট করে। দেশের মেধাবী ছাত্রনেতাদের হত্যা করেছে, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীদের হত্যা করেছে, শাপলা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। স্বৈরাচার সরকার পতন হওয়ার ৭ মাসে পার হলেও এখনো কোনো হত্যাকান্ডের বিচার হচ্ছে না।"
সমাপনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা শিবির সভাপতি মুস্তাকুর রহমান জাহিদ, "ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার নীল নকশা তৈরি করে। এরে ধারাবাহিকতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা শিবির সেক্রেটারি নোমানীকে হত্যার করা হয়।
নোমানী ভাইকে হত্যা করার পর আমরা দমে যায়নি বরং আমরা দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে এ ময়দানকে সকল শিক্ষার্থীদের ইসলামি শিক্ষাকে আমাদের করে নিয়েছি। যে ছাত্রলীগের আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল আজকে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের প্রতি ভালোবাসাকে কেউ কখনো দমাতে পারবে না এটা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, 'নোমানী ভাইকে হত্যার করার পর আমরা জানিয়ে দিয়েছি 'উহারা চাহুক দাসের জীবন, আমরা শহীদি দরজা চাই; নিত্য মৃত্যু-ভীত ওরা, মোরা মৃত্যু কোথায় খুঁজে বেড়াই!'
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: