রাবিতে ভিসি নিয়োগের গুজব, দিনে এক রাতে আরেক ভিসি

কে এ এম সাকিব, রাবি | প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২১ ২১:২৬; আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:২৬

ফাইল ছবি

প্রায় দেড় মাস হতে চলেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী ভিসি এম আবদুস সোবহানের মেয়াদ শেষ হওয়ার৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কর্মকর্তা আর শিক্ষক সবার মাঝেই নতুন ভিসি নিয়োগে কেন্দ্র করে নানা আলোচনা। তবে নতুন ভিসি কে হচ্ছেন সে কৌতূহল সবচেয়ে বেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের মাঝেই। এরই মাঝে ক্যাম্পাসে রটানো হচ্ছে ভিসি নিয়োগের গুজব। প্রায়শঃ বিভিন্ন জন ভিসি হচ্ছেন এমন তথ্য ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ক্যাম্পাসের সর্বত্র। বিষয়টিকে অপ্রীতিকর হিসেবেই দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকরা। এতে স্বয়ং বিব্রত হচ্ছেন যাদের নাম এভাবে ছড়ানো সেসব শিক্ষকও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র অধ্যাপক বলেন, বিভিন্ন জনের কাছে শুনলাম একজন সিনিয়র অধ্যাপক ভিসি হচ্ছেন, এমনও শুনা গেল ফাইল স্বাক্ষরও হয়েছে শুধু বিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায়। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেল এটা ছিল পুরোটাই একটা গুজব।

এদিকে, আগামী ১৫ জুলাই শেষ হচ্ছে রুটিন উপাচার্য ড. আনন্দ কুমার সাহার উপ-উপাচার্যের মেয়াদ, ফলে ভিসি নিয়োগের আলোচনা যত জোরালো হচ্ছে, ততই রটানো হচ্ছে গুজব। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মূলত এসব গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে শুরু করে নিম্নপর্যায়ের কর্মকর্তারা। তবে বাদ যাননি ক্যাম্পাস সাংবাদিক ও শিক্ষকরাও।

কঠোর লকডাউনে ক্যাম্পাস বন্ধ হলেও ক্যাম্পাসের কয়েকটি দোকানে চলে আড্ডা। দোকানদাররা জানান, এখানে শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র সবাই আসেন। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু থাকে ভিসি নিয়োগ। এক একজন এক এক তথ্য দেন, দিনশেষে দেখা যায় এসব তথ্য বিভ্রান্তকর। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপর্যায় থেকে শুরু করে নিম্নপর্যায়ের কর্মকতারা এই খবর ছড়ান। পরবর্তী সময়ে দেখা যায় এর কোনও ভিত্তি নেই। সাধারণত বুধবার ও রবিবার রাত কেন্দ্রিক এই গুজব বেশি ছড়ায়।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুজববিরোধী ফোরামের সভাপতি রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ মনে করেন ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এই গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত। এখানে রাতের বেলা কোনও শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে প্রচার করা হয় তিনি ভিসি হচ্ছেন। পরবর্তী সময়ে ওই শিক্ষকের নামে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সামাজিকভাবে হেয় করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ভিসি নিয়োগ নিয়ে যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে এটি ক্যাম্পাস ও রাজশাহী কেন্দ্রিক। আমরা যতটুকু জেনেছি, মন্ত্রণালয় এখনও পর্যবেক্ষণ করছে। ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে খোঁজখবর নিচ্ছে মন্ত্রণালয়। ক্যাম্পাসের যে সংকট তা সুন্দরভাবে সমাধান করতে পারবেন- এমন একজনকে উপাচার্য হিসেবে মন্ত্রণালয় নিয়োগ দেবে; এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।

রাবিতে ভিসি নিয়োগের প্রক্রিয়ার অবস্থা সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ মাহমুদুল আলম জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফাইলটি এখন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর গেছে। আশা করি দ্রুত নিয়োগ আদেশ আসবে। তবে কে উপাচার্য হচ্ছেন জানতে চাইলে মুখ খুলতে রাজি হন নি তিনি।

 



 
 


বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top