রাজশাহীতে নেই স্বাস্থ্যবিধি

প্রতিবন্ধীভাতা নিতে ব্যাংকে উপচেপড়া ভীড়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২০ ০৩:২৪; আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২০ ০৩:২৬

লক্ষ্মীপুর গ্রেটার রোড সোনালী ব্যাংক শাখার দৃশ্য

রাজশাহীতে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। এর সাথে রয়েছে অকাল মৃত্যু। মাস্ক বাধ্যতা মূলক করে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সরকার। কিন্তু রাজশাহীতে নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কোন সচেতনতা। বৃহস্পতিবার সকাল লক্ষ্মীপুর গ্রেটার রোড এবং আলুপট্টি সোনালী ব্যাংকের শাখায় স্বাস্থ্যবিধি না মানার করুণ দৃশ্য দেখা গেছে।বিনা মাস্ক আর ঠেলাঠেলি করে প্রতিবন্ধি ও তাদের অভিভাবকদের ভাতা উত্তোলন করতে যেন প্রতিযোগীতায় নামে । 

করোনা মহামারি মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর সামাজিক দুরত্ব বজায় এবং মাস্ক বাধ্যতা মূলক করে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সরকার। এই নিয়ম মানার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিনিয়ত তারা জনগণকে সচেতন করতে রাস্তায় রাস্তায় মাইকিংসহ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন। এমন কি তাদের পক্ষ থেকে মাস্কও বিতরণও করা হচ্ছে। কিন্তু নগরবাসী সরকারের এই বিধি নিষেধকে প্রতিনিয়ত অমান্য করে চলছে। ফলে বাড়ছে করোনা সংক্রামনের হার।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর গ্রেটার রোডের সোনালী ব্যাংকে কোন রকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রতিবন্ধি ও তাদের অভিভাবকদের ভাতা উত্তোলন করতে দেখা যায়। বেশীরভাগ মানুষের মুখে নেই মাস্ক। সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়ানোর জন্য বলা হলেও কার্যত তা মানতে দেখা যায়নি। এক জনের শরীরের সাথে লাগয়াভাবে আরেক জনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা দেখা যায়। কমবেশী একই অবস্থা দেখা গেছে আলুপট্টি সোনালী ব্যাংকের শাখায়।

ভাতা নিতে আসা অভিভাবকরা বলেন, ১ থেকে ১০ ওয়ার্ডের সকল প্রতিবন্ধীকে একদিনে একসাথে ব্যাংকে টাকা নিতে বলায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে মোবাইলের মাধ্যমে তাদের ভাতার টাকা প্রদান করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

আন্দালীব/২৩



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top