সুনামগঞ্জের ১২ গ্রামে শিলাবৃষ্টির তাণ্ডব, ছিদ্র হয়েছে সহস্রাধিক বসতঘর

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ৫ মে ২০২৪ ২৩:১৮; আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ০১:৪৯

ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের শিলাবৃষ্টিতে বাংলাবাজার ইউনিয়নের অন্তত ১২টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

রোববার (৫ মে) বিকেলে বৃষ্টির সাথে বড় আকারের শিলা পড়তে থাকে। একোনো কোনো শিলার আকৃতি হাঁসের ডিমের চেয়ে বড় ছিল। এতে অনেক গ্রামের ঘরবাড়ির চাল ফুটো হয়ে যায়।

শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা, চৌধুরীপাড়া, মৌলারপাড়, কলোনি, নতুন বাঁশতলা, ঝুমগাঁও, পেকপাড়া গ্রাম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

কলোনি গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদ আলী বলেন, শিল পড়ে টিনের চালে অসংখ্য ছিদ্র হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের শিলাও পড়তে থাকে। কোনো শিলা হাঁসের ডিমের চেয়েও বড় ছিল। এতে অনেকের ঘরের মালামালও নষ্ট হয়েছে।

বাঁশতলা গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ মিয়ার বয়স ৮০ বছর। তিনি বলেন, আমার বয়সে কোনোদিন এত বড় শিলা দেখিনি। এক একটা শিলার আকৃতি যেন পাথরের মতো।

হকনগর বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার ভূইয়া বলেন, টিন দিয়ে তৈরি বাজারের প্রায় শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে দোকানের মালামাল ভিজে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাবাজার ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, শিলাবৃষ্টিতে বাঁশতলা অঞ্চলের সব টিনের ঘর ছিদ্র হয়ে গেছে। ঘরের ভেতর থেকে এখন আকাশ দেখা যাচ্ছে। এসব ঘর একেবারেই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসাইন বলেন, শিলাবৃষ্টিতে প্রায় সহস্রাধিক টিনের চাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আকস্মিক শিলাবৃষ্টিতে নিম্নআয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top