ভারতীয় মানব পাচারকারী ও নারী-শিশুসহ আটক ৪
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩ মে ২০২৫ ২৩:১০; আপডেট: ৪ মে ২০২৫ ১১:৩২

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এলাকা থেকে এক ভারতীয় মানব পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় তার সঙ্গে পাচার হওয়ার আগে উদ্ধার করা হয়েছে দুই নারী ও এক শিশু।
বুধবার (১ মে ) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর বাঘাডাংগা বিওপি'র একটি টহল দল কাঞ্চনপুর গ্রামের একটি ব্রিজের উপর থেকে তাদের আটক করে।
আটক পাচারকারীর নাম শংকর অধিকারী (৩৯)। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাগদা থানার পূর্বহুদা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম নুকুল অধিকারী ও মাতার নাম গৌরি অধিকারী।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, শংকর অধিকারী বাংলাদেশে ৬ মাসের ভিসা নিয়ে ৩ মাস আগে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার বড়খোলা গ্রামে তার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন এবং ১৩ বছর বয়সী জয় বালা নামের এক কিশোরীকে বিয়ে করেন। পরে তিনি আবার ভারতে ফিরে যান। গত ১৭ এপ্রিল তিনি পুনরায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
স্ত্রী জয়া বালা, প্রতিবেশী যুথিকা হালদার (২৯) এবং যুথিকার ১০ বছর বয়সী ছেলে বাধন বৈদাকে নিয়ে বেড়ানোর কথা বলে বাঘাডাংগা সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসেন।
তবে অভিযুক্ত শংকরের স্ত্রী ও যুথিকা জানান, তারা পাচারের বিষয়টি জানতেন না। তাদের ধারণা ছিল, তারা শুধুমাত্র ঘুরতে যাচ্ছেন। পরিবারের সদস্যরাও একই দাবি করেছেন।
বিজিবি জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে শংকর স্বীকার করেছেন যে, বাংলাদেশি এক মানব পাচারকারী আনোয়ারের মাধ্যমে ৪৭ হাজার টাকার চুক্তিতে তিনজনকে ভারতে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল তার। সীমান্ত পার হওয়ার পর ওই টাকা আনোয়ারকে দেওয়ার কথা ছিল। শংকরের কাছ থেকে ৫০ হাজার ১১০ টাকা, ৮৫০ ভারতীয় রুপি এবং ৭ ওমানি রিয়াল উদ্ধার করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, পাচারের পর ওই নারী ও শিশুকে বিক্রি করে খরচের টাকা তুলতে চেয়েছিল শংকর।
আটক শংকর অধিকারীকে মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আর উদ্ধারকৃত দুই নারী ও শিশুকে পুনর্বাসনের জন্য যশোরের ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’ নামক একটি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মহেশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিজিবি সব সময় মানবপাচার রোধে তৎপর রয়েছে। সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: