ইসকন নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবিতে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ
রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:২৬; আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ২১:৩৭
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ বা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবি তুলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত এ সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা বিভিন্ন দাবি ও অভিযোগ তুলে ধরেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মেহেদী হাসান, সদস্য আহমেদ রফিক ও ইসলামি বক্তা মুহাম্মদ জসীমউদ্দিন রহমানী বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ইসকন নিষিদ্ধ ঘোষণা, টঙ্গীতে ইমাম গুমের ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তার, গাজীপুর ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচার এবং রাষ্ট্রীয় নীরবতার নিন্দা জানান। এ সময় ছয়টি দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবি গুলো হলো- ১। গাজীপুর ধর্ষণের ঘটনা ঘিরে পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ বিভাগকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভিকটিমের প্রতি দোষারোপ বন্ধ করে পুলিশ ও প্রশাসনের আচরণের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখে এনে দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; ২। টঙ্গী এলাকার অপহরণ-হত্যা ও এ বিষয়ে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত চালিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলকভাবে দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে; ৩। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ‘কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষ’ ও ইসলামবিদ্বেষী আচরণ রোধে একটি জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে; ৪। মুসলিম নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও রক্ষা ব্যবস্থাসহ আইনি গঠন করতে হবে; ৫। ইসলামবিদ্বেষ-বিরোধী কর্মকাণ্ডে অগ্রণী যে ইমাম, সক্রিয় নাগরিক ও সংগঠনগুলো লড়াই করছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আহমেদ রফিক বলেন, ‘ইসকনের বিরুদ্ধে কথা বলায় এক খতিবকে অপহরণ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় রাষ্ট্র চুপ করে আছে, প্রশাসন অপরাধীদের রক্ষা করছে। সুশীল সমাজ বা রাজনীতিবিদদের কেউই দায়িত্ব নিচ্ছে না।’
মুহাম্মদ জসীমউদ্দিন রহমানী বলেন, ‘ইসকন কোনো ধর্মীয় সংগঠন নয়, এটি ইহুদি প্রভাবিত উগ্রবাদী গোষ্ঠী, যারা একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে।’
ডা. মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা বিচারের দাবিতে এসেছি। সরকার ন্যায়বিচার করলে আমরা শান্ত থাকব, কিন্তু বর্তমানে আমরা বিচার নয়, প্রহসন দেখছি। এমন গুরুতর ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও কোনো বক্তব্য নেই।’
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে অংশগ্রহণকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে অগ্রসর হন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: