পুঠিয়ায় অবৈধ ট্রাক্টর ধ্বংস করছে গ্রামীন সড়ক

আরিফ সাদাত, পুঠিয়া প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী ২০২১ ২৩:২৪; আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ২১:৫৯

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ইটভাটা ও পুকুর খননকারীদের অবৈধ ট্রাক্টর-ট্রলি মাত্রাতিরিক্ত মাটি বহনের কারণে গ্রামীণ সড়কপথ গুলো ধ্বংসের মূখে পড়েছে। উপজেলা ও পৌরসভা প্রকৌশল বিভাগ বলছেন, সড়কের অবকাঠামো না জেনে অবৈধ ওই গাড়ির মালিকরা তাদের ইচ্ছেমত মাটি বা ইট পরিবহণ করছেন। যার করণে সংস্কার বা নির্মাণ করার বছর শেষ না হতেই সড়ক গুলো পূর্বের রুপ ধারণ করছে।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় মোট ৫শ’ ২৪.৭৩ কিলোমিটার সড়কপথ রয়েছে। এর মধ্যে পাকা সড়কের পরিমাণ প্রায় ২শ’ ৫০ কিলোমিটার। অপরদিকে পৌরসভা এলাকায় মোট সড়কপথ রয়েছে ৮৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা সড়ক রয়েছে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার।

সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলো অভিযোগ তুলে জানান, উপজেলায় মোট ১৫টি স্থানে ইটভাটা গড়ে উঠেছে। অপরদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরো প্রায় এক ডজন পুকুর খনন কাজ চলছে। বর্তমানে ইটভাটা ও পুকুর খননকারী মালিকদের পরিবহন কাজে নিয়োজিত প্রতিদিন প্রায় এক হাজার ২শ’ ট্রাক্টর-ট্রলি চলাচল করছে। প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে শুরু করে মে-জুন পর্যন্ত এই অবৈধ যানবাহন গুলোর চলাচল সবচেয়ে বেশী। অবৈধ বাহন গুলো সার্বক্ষনিক ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কসহ স্থানীয় গ্রামীণ সড়ক গুলোতে মাত্রারিক্ত ইট ও মাটি পরিবহন করছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত সড়ক গুলো সাধারণ মানুষদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম বলেন, পুকুর ও ইটভাটার মাটি বহনকারী ট্রাক্টর-ট্রলির প্রভাবে পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন সড়ক বেহাল দশায় পতিত হচ্ছে। যা পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত আশে-পাশের সড়ক গুলো দেখলে সহজেই বুঝা যাবে।

স্থানীয় আসাদ আলী নামের একজন ভূক্তভোগী বলেন, পুলিশ-প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইটভাটা ও পুকুর খননকারীরা অবৈধ যানবাহন দেদারছে চালাচ্ছে। ট্রাক্টর-ট্রলির দাপটে সড়ক গুলোতে একদিকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, অপরদিকে সড়ক নির্মাণ শেষ না হতেই বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে ওই গাড়ী চালক ও মালিকদের রোষানলে পড়তে হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, প্রতিটি পাকা সড়ক প্রকার ভেদে তৈরি করা হয়। সড়ক গুলো নির্মাণের সময় তার ধারণ ক্ষমতাও রয়েছে। গ্রামের কিছু কিছু পাকা সড়ক রয়েছে যে গুলোতে সাধারণত ৫-৭ টন ধারণ ক্ষমতা বা পরিবহন করা যায়। কিন্তু ইটভাটা মালিকগণ ওই নিয়ম মানছেন না। তারা সড়ক গুলোতে মাত্রারিক্ত ইট-মাটি বোঝাই করে ট্রলি-ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করাচ্ছে। এতে খুব তাড়াতাড়ি সড়ক গুলোর অবকাঠামো ভেঙ্গে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, গ্রামীন সড়কে বেপরোয়া ওই যানবাহন গুলোর বিষয়ে অচিরেই অভিযান চালানো হবে।

এনএস



বিষয়: পুঠিয়া


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top