মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর

ইসরাইলের প্রতি সতর্ক বার্তা মুসলিম বিশ্বের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২০ ০০:০৯; আপডেট: ১৬ মে ২০২৪ ১৬:৪৭

ফাইল ছবি

ইসরাইলকে আবারো সতর্ক করল আরব বিশ্বের সংস্থা ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে আরব ও ফিলিস্তিনের ভূমি দখল বন্ধ না করা পর্যন্ত ইসরাইলের সঙ্গে কোনো স্বাভাবিক সম্পর্ক তারা রাখবে না।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর মধ্যপ্রাচ্য সফরের মাঝেই এমন সতর্ক বার্তা দেয় দেশটি।

সোমবার (২৪ আগস্ট) সংস্থাটির পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, আল-কুদসসহ (জেরুজালেম) ১৯৬৭ সাল থেকে দখলকৃত আরব ও ফিলিস্তিনিদের ভূমিতে ইসরাইলের দখল বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত- এই সংস্থার সদস্য দেশসমূহ ও ইসরাইলি দখলদার রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব হবে না।

সংস্থাটির মহাসচিব ইউসুফ আল-ওথামিনের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের বিষয়টি এর মূল কারণ।

বিবৃতিতে আরব দেশগুলোর ২০০২ সালে ইসরাইলকে দেয়া শান্তি প্রস্তাবের প্রসঙ্গ টেনে উল্লেখ করা হয়, কৌশলগত সাংবিধানিক পছন্দ, ঐতিহাসিক সুযোগ ও সাধারণ ভিত্তি গঠনের মাধ্যমে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনে শান্তিপূর্ণ, ন্যায়বিচার ও বিস্তৃত সমাধানের ভিত্তি হতে পারে।

শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে লেবাননের রাজধানীতে ২০০২ সালে আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের স্বাভাবিক সম্পর্ক গঠনের উদ্দেশ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে সময়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে তেল আবিবের সঙ্গে শান্তি রক্ষায় ১৯৬৭ সাল থেকে সব আরব দেশের অধিকৃত ভূমি ছেড়ে দিতে, পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনিদের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও শরণার্থী সমস্যা সমাধানের কথা উল্লেখ করে ইসরাইলকে চিঠি দেওয়া হয়।

তবে আরববিশ্বের সে প্রচেষ্টা কাজে দেয় নি তেমন, ইসরাইল থেকে ও আসে নি উল্লেখযোগ্য তেমন কোন সাড়া। কিন্তু ইসরাইল সরকার সে উদ্যোগকে প্রত্যাখ্যান করে এবং প্রস্তাবটিতে মৌলিক পরিবর্তন আনার কথা জানায়।

কিছুদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরাইলের স্বাভাবিক সম্পর্ক করার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে মধ্যস্থতা করেন এ চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের ভূখণ্ডে উভয়ে দূতাবাস খোলার কথা বলা হয়েছে।

আরব বিশ্বের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত তৃতীয় দেশ হিসেবে ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর আগে ১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডান ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে।

মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশসহ ফিলিস্তিনি জনগণ ইসরাইল ও আরব আমিরাতের এ চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলছে, এটি ফিলিস্তিনিদের জন্য কাজ করছে না বরং ফিলিস্তিনিদের অধিকার উপেক্ষা করছে।

খবর-যুগান্তর
এসএইচ

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top