প্রাণঘাতী লড়াইয়ে গৃহযুদ্ধে মিয়ানমার

রাজ টাইমস | প্রকাশিত: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৩০; আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৩২

ছবি: সংগৃহীত

বছরের পর বছর ধরে সামরিক শাসনের অধীনে থাকার অভিজ্ঞতা মিয়ানমারবাসীর রয়েছে। তবে গত এক বছরের জান্তা শাসনে দেশটিতে রক্ত ঝরেছে প্রচুর। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তাবিরোধী তুমুল বিক্ষোভ, বিশেষত তরুণদের প্রতিবাদ, রক্তপাত মিয়ানমারকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অনেকে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন।

দেশটির একটি মানবাধিকার সংগঠনের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি আজ মঙ্গলবার জানিয়েছে, মিয়ানমারে গত এক বছরের সংঘাতে ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই জান্তাবিরোধী। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি–হামলায় তাঁরা প্রাণ হারান। এক বছরে দেশটিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১১ হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষ। আর জান্তার হিসাবে, গত ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মিয়ানমারে ১৬৮ সেনা ও পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাশেলেট বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মিয়ানমারের এখনকার পরিস্থিতি গৃহযুদ্ধে রূপ নিচ্ছে। সংঘাতকবলিত দেশটিতে শান্তি ফেরাতে ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে এবং কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।

জান্তার বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে মিয়ানমারের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠনগুলো। জান্তা সরকারকে রুখতে ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রেণতাদের নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরাও হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন। মিয়ানমারে রাজনীতি–সচেতন তরুণদের মধ্যে পিডিএফের মতো সংগঠনের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জান্তার ওপর গেরিলা হামলার ঘটনাও।

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী মনোভাব জোরদারের প্রসঙ্গে মিশেল ব্যাশেলেট সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমরা যদি জান্তার বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নিতে না পারি, তাহলে দেশটির পরিস্থিতি দ্রুত সিরিয়ার মতো হতে পারে।’



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top