নেই কোনো মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দ, তবুও আতঙ্কে তুমব্রুর বাসিন্দারা

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:২৭; আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:০১

ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে এখন নেই কোনো মর্টার সেল ও গোলাগুলির শব্দ। তবুও গত কয়েক দিনের গোলাগুলির ঘটনায় এখানকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ও তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে গত বছর থেকে সে দেশের বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে আসছে।

গত কয়েকদিন ধরে দেশটির অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও ভারি অস্ত্র বিস্ফোরণের শব্দে কম্পিত হচ্ছিল নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু, বাইশফারি, ফাত্রাঝিরি, রেজু আমতলি, গর্জবনিয়াসহ সীমান্তবর্তী এলাকা। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। ফাটল ধরেছে মাটি দিয়ে তৈরি ঘরের দেয়াল। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এলাকার তুমব্রু সীমান্ত নদীর পূর্ব পার থেকে কিছু দূরে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ঢেঁকুবুনিয়া সীমান্তচৌকি।

ওই সীমান্তচৌকি এলাকায় গতকাল রাত ৩টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় সীমান্তসংলগ্ন তুমব্রু, কোণারপাড়া এলাকায় কোনো সমস্যা হয়নি। আজ সকাল থেকে কোনো গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যায়নি, তবে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজমান।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেছেন, সীমান্তের ওপারে মাঝেমধ্যে গোলাগুলি হলেও আমার ইউনিয়নে আপাতত কোনো সমস্যা নেই। তবুও সাবধানে কাজকর্ম করার জন্য জনসাধারণকে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা চলছে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ঘুমধুম সীমান্তের কোথাও তেমন কোনো গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যায়নি। সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top