তৃণমূলে জামায়াতেরও আন্দোলনের বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:১৭; আপডেট: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:২৭

ছবি: ফাইল

ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের জন্যে মাঠে নামার জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।

দলটির নেতারা মনে করছেন, বর্তমান সরকার ফের ক্ষমতায় আসতে পারলে জামায়াতের অস্তিত্ব আরও সংকটে ফেলতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া তৃণমূল নেতাদের নামে থাকা সব রাজনৈতিক মামলায় বিচারকাজ শেষ করবে সরকার। খবর যুগান্তরের। 

রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু না থাকলেও ইতোমধ্যে দলটির তৃণমূল স্পষ্ট যে, এ সরকারের অধীনে জামায়াত নির্বাচনে যাচ্ছে না। এজন্য আগামীতে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে দলটির কেন্দ্র। সম্প্রতি অনলাইনে এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও এক দফার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতাকর্মীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, দেশের জনগণ সরকারকে আর কোনো নির্বাচনি নাটক মঞ্চস্থ করতে দেবে না।

এর বাইরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোট, চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থি কয়েকটি দলও মনে করে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এ সরকারের অধীনে তারাও নির্বাচনে যাবেন না। বিএনপির প্রত্যাশা, তারাও দাবি আদায়ে পৃথকভাবে মাঠে থাকবেন।

এদিকে পেশাজীবী সংগঠনগুলোকেও ঐক্যবদ্ধ করে মাঠে নামানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে বিএনপিপন্থি পেশাজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সরকারের সঙ্গে নেই, এমন বিরোধী দলের পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছে। ইতোমধ্যে ‘ইউনাইটেড ল ইয়ার্স ফ্রন্ট’ নামে সরকারবিরোধী আইনজীবীদের একটি সংগঠন সুপ্রিমকোর্টে গঠন করা হয়েছে।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সারা দেশের পেশাজীবীদের এক জায়গায় আনার চেষ্টা করছি। চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, সাংবাদিক, কৃষিবিদসহ অন্যান্য পেশাজীবীকে নিয়ে ঢাকায় একটি মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনা আছে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top