রামেকে হামলাকারীরা গ্রেফতার না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ার
রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২২ ০৪:৪৫; আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:২৯

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীরা গ্রেফতার না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ার দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।
- বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে রামেক হাসপাতালের সভাকক্ষের সামনে সাংবাদিকদের এসব জানান রামেক ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন।
ডা. ইমরান হোসেন বলেন, গত রাতে (বুধবার দিনগত রাত) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য আমাদের হাসপাতালের ওপর ও আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। সেই ঘটনার জেরে তাৎক্ষণিকভাবে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা নিরাপত্তার অভাবে কর্মস্থল থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছি।
তবে রোগীদের স্বার্থে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবা এখনও অব্যাহত রাখা হয়েছে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে সকল ইন্টার্ন চিকিৎসক পুনরায় পুরোদমে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাবেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে হামলার ঘটনায় কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে। সে মামলায় হামলাকারিদের গ্রেফতার করতে হবে। ২৪ ঘণ্টার ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে শনিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে বৃহত্তর কর্মসূচির দিকে যাবো।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কিভাবে মারা গেছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়াও ময়নাতদন্ত ছাড়াই তারা লাশ দাফনের জন্য নিয়ে গেছেন। যেহেতু হাসপাতালে হামলা এবং ভাঙচুর করা হয়েছে তাই পরবর্তী নিরাপত্তার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একটি মামলা করে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, চিকিৎসকদের উপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় বাদি হয়েছেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। তিনি বাদি হয়ে রাজপাড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শতাধিক ছাত্রকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
এর আগে, প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ইন্টার্ন চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ, চিকিৎসক নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আলোচনায় বসেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। এসময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. নওশাদ আলীসহ রামেকের উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে শাহরিয়ার নামের এক শিক্ষার্থী আহত হন। অন্য শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।
তবে, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৪০ মিনিট বিলম্বে এসে গুরুতর আহত রাবি শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড ও পরিচালকের কক্ষের সামনের অংশে ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরাও শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে কর্মবিরতি ঘোষণা করে রামেকে কর্মরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
সূত্র: ঢাকা মেইল
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: