আগেও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে

গ্রেফতার হলো ধর্ষক ধর্মযাজক প্রদীপ গ্যাগরী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২০ ০০:১৮; আপডেট: ২১ মে ২০২৪ ০০:৫৩

 গ্রেফতারকৃত ধর্ষক ধর্মযাজক  প্রদীপ গ্যাগরী

রাজশাহীর তানোর উপজেলার মন্ডুমালা সাধু জন মেরী ভিয়ান্নী গির্জায় কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ধর্মযাজক প্রদীপ গ্যাগরী। তার বিরুদ্ধে এর আগেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে তা ধামা চাপাদেয়া হয়। ধর্ষক ফাদার প্রদীপ গ্যাগরী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের প্যাট্রিক গ্যাগরী পুত্র।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে মন্ডুমালার সাধু জন মেরী ভিয়ান্নী গির্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয় এক তরুণী। পরে এ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন নিখোঁজের বড়ভাই। পরে গির্জায় ফাদারের কক্ষ থেকে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি জানাজানি হলে প্রভাবশালীদের নিয়ে গির্জায় সালিশ বৈঠক করেন ধর্মীয় নেতারা। সেখানে ওই কিশোরীকেই ঘটনার জন্য দোষারোপ করা হয়। পরে তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করার হুমকি দেন প্রভাবশালীরা। সেখানে ফাদার প্রদীপকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। গ্রেপ্তার এড়াতে প্রদীপ গ্যাগরী রাজশাহীর বিশপ হাউসে আশ্রয় নেয়। পরে সেখান র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে ফাদার প্রদীপ গ্রেগরীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন মানববন্ধন করে আদিবাসী ছাত্র পরিষদ।
এদিকে ধামইরহাটের বেনিদুয়ারে দায়িত্বরত অবস্থায় প্রদীপ গ্যাগরী (ফাদার) বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির আরেক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠে। ওই কিশোরীর আত্মীয় সাংবাদিকদের জানান, ‘নওগাঁর ধামইহাটের বেনিদুয়ারে স্যাক্রেড হার্ট অফ জিজাস চার্চ পরিচালিত হোস্টেলে থাকা অবস্থায় ২০১০ সালে আমার আত্মিয়াকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ফাদার প্রদীপ। আমরা এমন অপকর্মের প্রতিবাদ জানিয়ে সেসময় বিচার চাইলে চার্চ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মীমাংসা করে দফারফা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে তারা বিভিন্নজনকে ম্যানেজ করে অত্যান্ত গোপনে বিষয়টি ধামচাপা দেয়। হোস্টেলে থাকা অনান্য ছাত্রীরাও বিষয়টি জানত কিন্তু ভয়ে তারাও পরে আর মুখ খোলেনি। তিনি আরও জানান, এমন অপকর্মের যদি সেই সময়ে বিচার করা হত তাহলে আর এমন ঘটনা ঘটত না’।

আন্দালীব



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top