করোনাকালেও সফল শাকিলা আক্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২১ ০৬:২৯; আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:২০

উদ্যোক্তা শাকিলা আক্তার

করোনাকালে হাসব্যান্ড চাকরি হারায়। তখন পরিবার নিয়ে খুব টেনশনে পড়ি। চোখ জুড়ে নামে রাজ্যের হতাশা। কিন্তু হতাশা থেকে বেরিয়ে দেখি আলোর দিশা। এবছরের মধ্যেই পুরো পরিবার নিয়ে ‘ইউ টার্ন’। অবিশাস্য, ভাবতেই পারিনি, ঘরে বসে অর্থিক সচ্ছলতা আসত পারে। এভাবেই উদ্যেক্তা শাকিলা আক্তার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, এটা খুবই চ্যালেঞ্জ ছিল আমার কাছে। প্রথমে অনলাইন পেজ খুলি, কিন্তু তেমন রেসপন্স পাচ্ছিলাম না। এর আগে এক বড়ো আপুর মাধ্যমে একটা গ্রুপ- এড হই এবং অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করেছি। তারপর আমার হ্যাসবেন্ড এবং আমার কিছু বন্ধুদের সাহায্যে আমি মাত্র ১০ টা বেডশিট নিয়ে আমার অনলাইন বিজনেস শুরু করি। প্রথম দিকে তেমন কোন অর্ডার পাচ্ছিলাম না। পাশাপাশি কাস্টমার-এর বিশ্বাস অর্জন করাটা খুব বেশি পযধষষবহমরহম ছিলো।

আমার এখন ও মনে আছে আমার জীবনে অনলাইন বিজনেস এর প্রথম কাস্টমার ছিলেন আমরা রাজশাহীর উদ্যোক্তা গ্রুপ এর এক মডারেটর আপু মিতু আপু। অনেক ভালো মনের মানুষ মিতু আপু। আমি ঠিক ভাবে প্রোডাক্ট ডেলিভারি নিয়ে কথা বলতে পারছিলাম না কিন্তু উনি আমাকে খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছিলেন কিভাবে কাস্টমার কে হ্যান্ডেল করতে হয়, ডেলিভারি কিভাবে করতে হয়।আমার কাছে সেই দিনটা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বর্তমানে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী সিল্ক শাড়ি, বেডশিট, পাঞ্জাবি নিয়ে কাজ করছি। উদ্যোক্তা জীবনে সফল হতে বড় ভুমিকা ছিলো আমার মা, হাসবেন্ড এবং আমার বন্ধু শুভ, শামীম, মাহাদি, রুপম ও শাহ মকদুম। আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা হলো, একটা শোরুম নিয়ে সেটা দিয়ে আমার ব্যাবসাকে বাস্তব রূপ দেয়া।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top