বাঘায় সরকারি জলাশয় পুন:খননে অর্থ লোপাটের অভিযোগ

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২১ ২৩:৩৪; আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৫:২৪

সরকারি জলাশয়।

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় সরকারি জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় দু’টি পুকুর পুন:খনন কাজ শেষ করা হয়েছে। এই প্রকল্পে-নামে মাত্র কাজ দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ঠ পুকুর রক্ষনা-বেক্ষন সমিতিসহ স্থানীয় লোকজন।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, বাঘা উপজেলায় ৪৮ টি খাস জলাশয় (পুকুর) রয়েছে। এরমধ্যে ২০২০-২১ অর্থ বছরে বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর থেকে উপজেলার জোতরাঘব এলাকায় মোজাতলী পুকুর ১ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা এবং ছায়ামনি পুকুর ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকায় পুন:খনন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এ কাজটি পেয়েছেন, “মেসার্স মন্ডল ট্রেডাস’’। অথচ এ কাজটি করছেন চকরাজাপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান।

অভিযোগ উঠেছে,এই দুটি পুকুর এর মধ্যে ছায়ামনি থেকে ১২৬৯ দশমিক ৪৪৯ বর্গ মিটার এবং মোজাতলী পুকুর থেকে ১১৬৫ দশমিক ২৮৯ বর্গ মিটার মাটি সরকারি ভাবে উত্তোলনের নির্দেশ রয়েছে। এই নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, পুকুরের মাঝ খানে একটি বক্স (স্থানীয় ভাষায় স্বাক্ষী) রাখার কথা। কিন্তু এর একটিতে রাখা হলেও-অন্যটিতে রাখা হয়নি।

সরেজমিন বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) ঐ পুকুর দুটি পরিদর্শনে গিয়ে একটিতে বক্স(স্বাক্ষী) না পেয়ে একজন কৃষককে পুকুরের মাঝখানে নামতে বললে সেখানে এক হাটু পানি লক্ষ করা যায়। এ সময় ঐ গ্রামের আজিবুর রহমান, সিদ্দিক আলী ও আবুল কালাম সহ স্থানীয় অনেকেই বলেন, দু’দিন আগে বৃষ্টি হয়েছে বলে সামান্ন পানি দেখা গেলো। তা না হলো কাঁদা দেখতে পেতেন। তাঁদের মতে, দুটি জলাশয় পুন:খননে যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে তার অর্ধেক টাকারও কাজ করা হয়নি।

এদিকে সরকারি ভাবে উপজেলা ভুমি অফিস থেকে তিন বছর মেয়াদি যে সমিতির নামে পুকুর দু’টি লিজ দেয়া হয়েছে (জোতরাঘব কৃষক সমিতি)এর সভাপতি মুক্তার আলী অভিযোগ করে বলেন, যারা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তারা নাম কাওয়াস্তে কাজ দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।

এ বিষয়ে প্রকল্পের ঠিকাদার শাহিন মন্ডল বলেন, আমার লাইসেন্সে কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে সঠিক। তবে আমি সেখানে একদিনও যায়নি। এ কাজটি দেখভাল করছে চকরাজাপুর ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান।

সার্বিক বিষয়ে বাঘা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি পুকুর দুটি পর্যবেক্ষন করেছি। এ কাজ সিডিউল মোতাবেক হয়নি। এ কারণে বিল দেয়া বন্ধ রয়েছে। এটি দেখভালের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। আমি সেই কমিটিকে সাথে করে ফের সেখানে যাবো।এরপর মাফযোগ ঠিক-ঠাক হলে তবেই বিল দেয়া হবে।

 


এসএইচ



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top