নাটোরে হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ, তিল ধারণের ঠাঁই নেই

নাটোর সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২১ ০২:০৯; আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:২৩

করোনা রোগীদের চাপে ঠাঁই নেই নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে।

করোনা রোগীদের চাপে ঠাঁই নেই নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে। হাসপাতালটিতে করোনার চিকিৎসার জন্য প্রথমে ৩১ বেডের একটা ইউনিট চালু করা হয়। রোগী বাড়তে থাকায় হাসপাতালের সব সাধারণ ওয়ার্ডের বেড কমিয়ে তিন দফা বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ৭০শয্যার। এখানে আজ ভর্তি রয়েছে ৯১জন রোগি। শয্যা না পেয়ে করোনা ইউনিটের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। তারপরও সংকট কাটছে না হাসপাতালের। রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে তিনজন চিসিৎসকসহ হাসপাতালের মোট ১৬জন আক্রান্ত হয়েছেন।

নাটোরের পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের। পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার (২ জুলাই) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জরুরী সভায় বসেছে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার বিকেলে সভার আগেই নবাগত জেলা প্রশাসক নাটোরে করোনা চিকিৎসার পরিসর বৃদ্ধির জন্য আরো দুটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, নাটোরে গত ২৪ ঘন্টায় চারজন মারা গেছে, নতুন করে ৭৮ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ৪২ দশমিক ১৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪০৮৩ জন। সদর হাসপাতালে কয়েক দিন ধরে করোনা রোগীর চাপ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। করোনার পাশাপাশি অন্য সাধারন ওয়ার্ড ও বহি:বিভাগে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালটিতে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার রোগি আসে।

নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ কুমার রায় বলেন, ‘সর্বত্রই করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামে রোগীর সংখ্যা বেশি বাড়ছে। যেখান থেকেই আসুক তাঁকে আমরা জরুরি মনে করলে ভর্তি না নিয়ে পারছি না। পরিস্থিতি অনেকটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে। অথচ করোনার উর্দ্ধগতি কমিয়ে আনতে গত ৯জুন থেকে নাটোর পৌরসভায় লকডাউন চলছে।

সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে জেলার সর্বত্রই করোনা রোগী বাড়ছে। কয়েক দিন আগেও অনেকে ভাবতেন, এই রোগ গ্রামে ঢুকবে না, গরিব মানুষ সংক্রমিত হবেন না। এখন তাঁদের ধারণা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে। করোনা থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে।

শুক্রবার বিকেলে এই রিপোর্ট লেখার সময় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেছেন, নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে করোনা রোগীদের চাপ কমিয়ে আনার জন্য আরো দুটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। সেসব হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার পরিসর বৃদ্ধিও চেষ্টা করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে জরুরী সভা চলছে। সভায় পরিস্থিতি কিভাবে উন্নতি করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সব সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top