বিলুপ্তির পথে শাপলা, বাঘায় যেন দেখাই মিলছে না

বাঘা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০১:৫৪; আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৫৭

ছবি: প্রতিনিধি

আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল। বর্ষাকাল মানেই শাপলা ফোটার দিন। শুধুই কি শাপলা? কদম, টগর, লিলি, কেয়া, কলাবতী সব বর্ষাকালের ফুল। শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। বাংলাদেশের অন্যতম ঋতু বর্ষাকাল। যা চোখে পড়ার মতো। চারদিকে পানি আর পানি। বর্ষা, বর্ষার ফুল নিয়ে বড় বড় কবি-লেখকদের অনেক গল্প, কবিতা ও গান রয়েছে। কিন্তু এ শাপলা আজ বিলুপ্তির পথে।

রাজশাহীর বাঘা, বাঘার পার্শ্ববর্তী এলাকা চারঘাট, লালপুর, বাগাতিপাড়া, পুঠিয়া ডোবা নালা, বিলাঞ্চলে সরেজমিন ঘুরে শাপলার তেমন দেখাই মিলছে না।

শাপলা সাদা, লাল, নীল তিন ধরনের হয়ে থাকে। বর্ষা থেকে শরৎ-এ পুকুর, ডোবা, খাল, বিল জলাশয় ও নিচু জমিতে প্রাকৃতিকভাবে হয়ে থাকে এই সাদা, লাল, নীল শাপলা। কয়েক বছর আগেও বর্ষা এবং শরৎকালে বিলাঞ্চলে বৈচিত্র্যময় ইতিহাসের জাতীয় প্রতীক শাপলা রাতে ফুটে, সকালে তাকালে দেখা যেত পানির উপর থালার পাতার সাথে দাড়িয়ে তার রূপ বিলাচ্ছে। গ্রামের শিশু কিশোরেরা সকালে মাঠ ও বিলঝিল থেকে লাল, সাদা শাপলা সংগ্রহ করে বাড়ীতে এসে গলার মালা, তরকারি খাদ্য হিসেবে এবং শাপলা ভেট বা ঢ্যাপ গুলো খৈ বানিয়ে খেত। এখনও পেলে খায়।
জলবায়ুর পরিবর্তনে খাল, বিল, জলাশয়, ভরাট ও কৃষি জমিতে অধিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগের কারণে এবং আগাছা দমনকারণে দিন দিন বাঘা উপজেলা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে শাপলা।

বাঘার শতবর্ষী আফছার আলী বলেন, বর্তমানে পদ্মা ফুল তো পাওয়াই যায় না। আগে এই সময় গ্রামাঞ্চলে খাল, বিল, ডোবা ও পুকুরের নিম্নাঞ্চলে যেখানে সেখানে শাপলা ফুল ফুটে থাকতো। কিন্তু বর্তমানে বিলঝিল ও পুকুরগুলো কৃষি কাজ করায় কীটনাশক প্রয়োগের ফলে লাঙ্গল চাষে শাপলা বীজ পচে নষ্ট হয়। এ কারনে দিন দিন শাপলা ফুল বিলুপ্ত হচ্ছে। জাতীয় ফুল শাপলাকে ধরে রাখতে হলে সরকারকে এটিকে চাষাবাদযোগ্য করে তুলতে হবে।

বাঘা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ্ সুলতান বলেন, প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিমভাবে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং জনসংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে শাপলা ফুলও বিলুুপ্তি ঘটছে। সরকারি সহায়তায় বাণিজ্যিকভাবে শাপলা ফুল চাষাবাদ করা হবে বলে জানান তিনি।

 

এসকে

 




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top