হেডের সেঞ্চুরি নয়, কামিন্সই ফাইনালে হারিয়েছেন ভারতকে!

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৮; আপডেট: ৫ মে ২০২৪ ০৮:২৭

ছবি: ফাইল

সদ্য সমাপ্ত আইসিসি বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক ছিলেন ট্র্যাভিস হেড। তার শতরানের ইনিংসই লড়াই শিরোপার জয়ের স্বপ্ন থেকে ছিটকে দিয়েছিল ভারতকে।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে তিনিই কঠিন ক্যাচ ধরে থামিয়ে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মার আগ্রাসী ব্যাটিং। কিন্তু তাকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ মার্নাস লাবুশেন। অসি ব্যাটারের মতে ফাইনালে দু’দলের মধ্যে আসল পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্সই।

বিশ্বকাপ ফাইনালে হেডের সাথে দীর্ঘ সময় ২২ গজে কাটিয়েছিলেন লাবুশেন। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে তারা তুলেছিলেন ১৯২ রান। লাবুশেন খেলেছিলেন ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। হেডের পারফরম্যান্স সবচেয়ে কাছ থেকে দেখেও সতীর্থকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ তিনি। তার মতে কামিন্সই সেরা। লাবুশেনের বক্তব্য, ‘বল হাতে অন্যতম সেরা দিন ছিল কামিন্সের। মনে পড়ছে না কখনো এত ভালো বল করতে কাউকে দেখেছি বলে।

ওই দিন ওর হাত থেকে এক দম সময়মতো সঠিক বলগুলো বেরিয়েছিল। মাঝের ওভারগুলো দুর্দান্ত বল করেছিল কামিন্স। মাঝের ওভারগুলোয় কোনো জোরে বোলারকে এত ভালো করতে কখনো দেখিনি। ফাইনাল জেতায় কামিন্সের প্রচুর কৃতিত্ব রয়েছে।’

বিশ্বকাপ ফাইনালে কামিন্স ১০ ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। আউট করেছিলেন শেয়স আয়ার এবং বিরাট কোহলিকে। ভারতের মিডল অর্ডারের ফর্মে থাকা দুই ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে দলকে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। ভারতের ইনিংসে রান তোলার গতিও অনেকটা কমিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

লাবুশেন কৃতিত্ব দিয়েছেন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তকেও। তিনি বলেছেন, ‘কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড এবং আমাদের বিশ্লেষকেরা দুর্দান্ত কাজ করেছে। আমাদের লক্ষ্যই ছিল ভারতীয় বোলারদের চাপের মুখে ফেলা। টস জিতে হাতে থাকে না। তবে কামিন্স টস জিতে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমাদের বোলারেরাও দুর্দান্ত বল করেছিল। কম রানে ভারতকে বেঁধে রাখতে পারা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেটাই ভারতের বোলারদের চাপে ফেলে দিয়েছিল।’

লাবুশেনের মতে, কামিন্সের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া যথেষ্ট সফল। এর প্রধান কারণ হিসাবে তিনি কামিন্সের পরিষ্কার ক্রিকেট মস্তিষ্কের কথা বলেছেন। দলের সবাই কামিন্সকে অধিনায়ক হিসাবে শ্রদ্ধা করে বলেও জানিয়েছেন কামিন্স।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top