শিক্ষক হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন

রাবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২২ ০০:৫৫; আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ১১:০৩

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মানববন্ধন।

আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে প্রকাশ্যে শিক্ষক উৎপলকে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে আঘাত করে হত্যা ও শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থগারের সামনে তারা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

এসময় তারা বিভিন্ন ব্যানার, প্লেকার্ডে তাদের দাবি গুলো তুলে ধরেন। “ সাম্প্রদায়িকতা রুখো, মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় দেশ গড়ো”, “শিক্ষক হত্যা-নির্যাতন চুপ কেন প্রশাসন”,“ চুপ থাকার আর সময় নাই শিক্ষক হত্যার বিচার চাই”,“ শিক্ষকের গলায় জুতার মালা এরপর কিন্তু তোমার পালা”, “শিরদাঁড়া টান করে শিক্ষক নির্যাতন বন্ধ করো” ।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক কামারুজ্জামান, রাজশাহী মহানগরের ভারপাপ্ত সভাপতি সুজিত কুমার সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা সভাপতি মাঝহারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তানভির আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সহ আরও অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীরা।

এসম সুজিত কুমার সরকার বলেন, আমাদের সব কিছুই আছে, শুধু দেশপ্রেম নেই। আমাদের দেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়তে হবে। আমি কেন আমার দেশ থেকে বিদেশে পালিয়ে যাবো। যারা শিক্ষককে হত্যা ও অপমান করেছে তাদের তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানাচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

এসময় মাজহাল ইরুসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ রকম বাংলাদেশ দেখতে চাননি, এ রাজনীতি চালু করতে চাননি। তিনি চেয়েছিলেন একটি নিরপেক্ষ রাজনীতি ও নিরপেক্ষ দেশ গড়তে। তিনি এজন্যই দেশ স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, যারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে বিশ্বাস করে না সেই অপশক্তি বরাবরই বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে অতৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা সেই অপশক্তিকে ধ্বংস করে বাংলার মাটি থেকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করতে চাই। দেশের মানুষের জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য আমরা কাজ করে চাই।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে প্রকাশ্যে শিক্ষক উৎপলকে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে আঘাত করে শিক্ষার্থী জিতু। পরে শিক্ষককে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার (২৭ জুন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় নিহত শিক্ষকের ভাই বাদী হয়ে মামলা করলে ২৮ জুন রাতে কুষ্টিয়া থেকে জিতুর বাবা এবং ২৯ জুন গাজীপুর থেকে জিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top